কখনও কখনও অল্প বয়সেই চুল পাকা শুরু হয়। অল্প বয়সে চুল পাকলে তা অনেকেরই অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠে।
বার্ধক্য ও জিনগত কারণ ছাড়াও অতিরিক্ত চাপ এবং শরীরে পুষ্টির অভাবেও চুল পেকে যেতে পারে। নিয়মিত স্ট্রেস-রিলিফ ব্যায়াম করলে এবং প্রয়োজন মতো ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে চুল রোধের পাশাপাশি স্ক্যাল্প ভালো রাখে এবং মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
সামুদ্রিক মাছ: যেকোনো সামুদ্রিক মাছ যেমন- অয়স্টার, চিংড়ি বা কাঁকড়ায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা-৩ চুলে পাক ধরা আটকায়।
লিভার : প্রাণিজ লিভার ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ হয়। এই ভিটামিনটি যেমন রক্তস্বল্পতা দূর করে তেমনি চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
আখরোট : আখরোটে থাকে প্রচুর পরিমাণ কপার বা তামা। এই তামাই চুলে মেলানিন উৎপন্ন করে, যা থেকে চুল থাকে কালো।
ব্রকোলি : চুলে পাক ধরা আটকাতে শরীরে প্রয়োজন পরিমিত পরিমাণ ফোলিক অ্যাসিড। যা প্রচুর অনুপাতে পাওয়া যায় ব্রকোলিতে।
সূর্যমুখী বীজ : সূর্যমুখী বীজের তেলে ভিটামিন-ই, আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছে। রান্নায় তাই সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করা ভাল। এছাড়া এই তেল দিয়ে বাদামের পেস্ট তৈরি করে স্ক্যাল্পে লাগালেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ডাল : ডালেও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি১২ এবং বি৯। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একবাটি ডাল রাখা খুবই জরুরি।
কাবলি ছোলা : কাবলি ছোলা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ একটি খাবার। রোজ না হলেও সপ্তাহে দুতিনদিন খেলেও চুলের বেশ উপকার হবে।