Sovon-Baisakhi: বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে রাঙিয়ে দিলেন শোভন, মা দুর্গা’র সামনে

Published By: Khabar India Online | Published On:

 এই যুগলের প্রেম কাহিনি টলিউডের সিনেমাকেও হার মানিয়ে দেবে। শোভন -বৈশাখি জুটি নিয়ে মাতামাতি চলছিল পুজোর আগে থাকেই। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের হয়ে ফোটোশ্যুটও করেন তাঁরা। এই ফটোসেশান আর সাক্ষাৎকারের মাঝে নিজেদের প্রেমের গল্প বলেন। একে-অপরের কী ভালো লাগা, কী খারাপ লাগা একসঙ্গে বাড়িতে কী করে সময় কাটান, পুজোয় কী করবেন, কলকাতায় প্রেমিক প্রেমিকার মতো ঘোরা, নানা ব্যক্তিগত কথা ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। তবে দশমীর সন্ধ্যায় মায়ের বিদায়বেলাতে কার্যত বোমা ফাটালেন একপ্রকার। দশমীর দিন এক টিভি চ্যানেলের দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষাবিদ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন -  Durga Pujo: পরিযায়ী মায়ের ভাবনা নিয়ে ‘ভাগের মা’

মা দুর্গার সামনে প্রকাশ্যে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন। এরপরেই শুরু হয়ে গিয়েছে নানান আলোচনা। একদল সমালোচকের মনে প্রশ্ন, সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়া মানে কি তবে হিন্দু মতে বিয়ে করলেন শোভন-বৈশাখী? এদিন বৈশাখির প্রিয় রঙ নীল পোশাকে নিজেদের সাজিয়েছিলেন শোভন আর বৈশাখী। কাল রাতের এক্সক্লুসিভ ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে প্রথমে বৈশাখীর গালে সিঁদুর লাগিয়ে দিচ্ছেন শোভন। আর তারপরই নিজের মাথা নুইয়ে দেন বৈশাখী। আর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন। এরপরেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে বৈশাখী আর শোভন জুটিকে নেটিজেনরা মনে করিয়ে দেন, অন্যের সঙ্গে তাঁরা বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন। এবং ডিভোর্স না হওয়ার পর্যন্ত এই সম্পর্কের কোনও স্বীকৃতি কিন্তু নেই।

আরও পড়ুন -  Baisakhi Chatterjee: রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালে তালে নৃত্যে মগ্ন বৈশাখী, শোভনের চারপাশে, হঠাৎ এমন নৃত্যে !

নিজের জামাইয়ের এই আচরণ দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শোভনের শ্বশুর দুলাল দাস। তিনি জানান, আলাদা থাকলেও শোভন আর রত্না এখনও ডিভোর্স হয়নি। এদিকে স্বামী মনোজিতের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়নি বৈশাখীরও। তিনি আরো বলেন, ‘কারও কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিলেই কি বিয়ে হয়ে যায়। ওঁরা কি স্বামী -স্ত্রী হয়ে গেল এতে! এই ধরনের মেয়েদের আর কী হবে!’ তিনি আরো যোগ করেন,, ‘এই নিয়ে যা পদক্ষেপ নেওয়ার তাঁর মেয়ে নেবে। ওঁর কোনও পরামর্শের দরকার হচ্ছে না।’

আরও পড়ুন -  শবেবরাত