অবশেষে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়ার পর এক বছরেরও অধিক সময় সিনেমাটি আটকে রাখে সেন্সর বোর্ড। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কোন ধরনের কর্তন ছাড়াই ছাড়পত্র পায় ‘চন্দ্রাবতী কথা’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন এন রাশেদ চৌধুরী।
চলচ্চিত্রটির মুক্তিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে ‘চন্দ্রাবতী কথা’র প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। প্রিমিয়ারে আমন্ত্রিত অতিথিরা সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, নাট্যব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু প্রমুখ।
নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেন, চন্দ্রাবতী কথার প্রিমিয়ার শো দেখে আসলাম। বাংলাদেশে বসে দীর্ঘ সময় ধরে সিনেমা বানানো খুবই কঠিন। সেই হিসেবে পরিচালক এবং পুরো টিমকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। অভিনয়শিল্পীরা সবাই পরিচিত, দক্ষ অভিনেতা। সকলেই তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করেছেন। আমার জন্য বাড়তি ভালোলাগার কারণ, এই সিনেমার নায়ক ইমতিয়াজ বর্ষণ। ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাসে’র পর কোন বিরতি না দিয়ে ওর অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। এটা খুবই আনন্দের। দোয়েল, নওশাবা, রাকায়েত ভাই, মুরাদ ভাই, তনয়, জয়ন্ত দা’সহ সকলেই ভালো অভিনয় করেছেন। অভিনন্দন পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী এবং পুরো টিমকে।
অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী নারী চন্দ্রাবতীর সারাজীবনের একটি গল্প। তাই এর পরিধিও বড়। চন্দ্রাবতীর জীবনী দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে সিনেমাতে ওই সময়ের সামাজিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, ঘটনা এবং পারফরম্যান্স স্টাইলও উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি চন্দ্রাবতী রচিত মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা এবং রামায়ণ অমর সৃষ্টি। চন্দ্রাবতীর নিজের জীবন ছিল অসম্ভব নাটকীয়। ষোড়শ শতকের অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী এই নারীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল এবং চন্দ্রাবতীর প্রেমিক জয়ানন্দের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ।