বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে আপামর বাঙালি। দুর্গা পুজোর শুরুতেই খানিকটা মনখারাপ টলি অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জির। পুরনো স্মৃতি ভিড় করেছে মন কেমন করছে তাঁর। সেই সব স্মৃতিকে আখরেই বাড়ির পুরনো রীতি নিজেই এখন পালন করলেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করে জানালেন নিজের মন খারাপের কথা জানালেন। স্বস্তিকার পোস্ট দেখে আবেগে ভেসেছেন বহু মানুষ। অনেক বাঙালী আছেন যাঁদের বাড়িতে রীতি মেনে দুর্গাপুজো হয়। সবাই মুর্তিপুজো করেন না। কিন্তু ঘটে পুজো হয়। যেমন স্বস্তিকা মুখার্জীর। অন্যবারের মতো এবারেও পুজোর চারটে দিন নিজের হাতে মাতৃ আরাধনা করবেন স্বস্তিকা। তবু বড্ড মন কেমন তাঁর। আসলে মুখার্জী বাড়িতে ঘটে দুর্গাপুজোর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অভিনেত্রীর মা। শৈশনে পুজোর চারটে দিন নিজের মাকে লাল পাড় গরদের শাড়ি পরে ব্যস্ত চিন্ময়ী দুর্গা মাকে মৃন্ময়ী রুপে আরাধনা করতে দেখখেছেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ সাল আচমকাই সব বদলে গিয়েছে অভিনেত্রীর জীবনে চলে গেলেন স্বস্তিকার আসল মা দুর্গা। মেয়েবেলা থেকে মা-বাবার কাছে পাওয়া ঈশ্বর ভক্তি পেয়েছেন তাতে চিড় ধরতেই পারত। কিন্তু তা ধরেনি কারণ তা সামলে নিলেন সন্তু মুখোপাধ্যায় স্বস্তিকার বাবা। ২০২০ সালে নিজের আদূরে বাবা আর সাপোর্ট সিস্টেম অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়কে চিরতরে হারান। এখন নিজের মেয়ে এবং বন্ধুবান্ধবদের ঘিরেই স্বস্তিকার জীবন। কিন্তু পুজোর আগে যেন সেই পুরনো মনখারাপ ঘিরে ধরল ফের অভিনেত্রীকে।
শেয়ার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির ঠাকুর আসনের সামনে বসে আছেন তিনি। মাতৃ আরাধনাত আয়োজন সবটাই নিজে হাতে করেছেন। অন্যদিকে একেবারেই সাদামাটা সাযে ধরা দিলেন তিনি। পরনে সুতির একটা সাদা লাল পেড়ে পুরোনো শাড়ি। সেটা আটপৌরে করে পরে পুজোর কাজ করছেন তিনি।
View this post on Instagram
এই শাড়ির সঙ্গে জীবনের এক অতুলনীয় স্মৃতি জড়িয়ে তাঁর। স্বস্তিকার কথায়, ‘আমাদের বাড়িতে মা দুর্গা পুজো আরম্ভ করেন ঘটে। মা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন ২০১৫ সালে। তার পর থেকে ঘটে পুজো করার দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিই। কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। এক এক সময় মনে হয়েছে ছেড়ে দিই, মায়ের মতো তো পারি না কিছু করতে। তবে শিখেছি অনেক কিছু তাঁরই কাছে। গত পাঁচ বছর ধরে মায়ের কাজটা মায়ের হয়ে আমিই করছি। কারণ ওই দু’জনের চলে যাওয়ার পর থেকে ওঁদের অভ্যেসগুলোকে খড়কুটোর মতন ধরে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। মা… তুমি যেমনটা দেখিয়ে গিয়েছিলে সেরকমটা করার চেষ্টা করছি। ‘চেষ্টা’… তোমার গরদের শাড়িটা আজও খুঁজে পেলাম না। কোথায় যে তুলে দিয়ে গেছো তুমিই জানো। তুমি যা গোছনদার ছিলে! যাক গে, একদিন না একদিন ঠিক খুঁজে পাব। আপাতত ওটার কাছাকাছি সাদা আর লালের একটা পরলাম।’