১০ বছরের তুলনায় এই বছর বঙ্গে রেকর্ড বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। এক নিম্নচাপের জের কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার আরেক নিম্নচাপ বঙ্গে আছড়ে পড়ছে। সাম্প্রতিক বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে বাহিত ঘূর্ণিঝড় গুলাবের জেরে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, একাধিক নদী সহ ব্যারেজের জল বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে অধিকাংশ জেলাগুলিতে তার কারণেই। কিন্তু এবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল দুর্গাপুরের পর বন্যা কবলিত হয়ে পরলো বীরভূমের ২০টি গ্রাম।
টানা নিম্নচাপের জেরে অজয় নদীর বাঁধ ও হিংলো নদীর বাঁধ ভেঙ্গে হু হু করে বইছে গোটা গ্রামে। দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতের পলাশ ডাঙ্গা গ্রাম সহ ২০টি গ্ৰাম জল ঢোকার কারণে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। জলের প্রবাহের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকায় ৫০টিরও বেশি কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মাছচাষি সহ সবজি চাষিরা ভয়ঙ্কর ক্ষয় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। নদীর বাঁধ ভেঙে জল বেড়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক মাছ বেরিয়ে গিয়েছে নদী থেকে। এবং তার পাশাপাশি বিঘের পর বিঘে জমি জলস্তর হয়ে পড়ায় নষ্ট হয়েছে একাধিক ফসলও। এবং বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় আজ ঘর ছাড়া হয়েছে শতাধিক মানুষ। পরবর্তীতে গ্রাম গঞ্জে এমন বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় প্রশাসন হয়ে উঠেছেন তৎপর।
\
ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক ভাবে বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এবং তার সাথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে উদ্ধার কার্যের জন্য। অন্যদিকেও একই দৃশ্য দেখা গেল ইলামবাজার ও নানুর ব্লক এলাকায়। এছাড়াও নানুর ব্লকের থুপসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিধাইয়ে ভেঙে গিয়েছে অজয় নদীর বাঁধ। যার ফলে সেই অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থের মুখে পড়েছে প্রায় ১৫-২০টি বাড়ি। প্রশাসনিক তরফ থেকে বর্তমানে উদ্ধারকার্য চালু রাখা হয়েছে।