শেষ হাসিটা প্রীতি হাসলেন।
লোকেশ রাহুল-মায়াঙ্ক আগারওয়ালের উদ্বোধনী জুটি সেটাই পেল পাঞ্জাব কিংস। ১৬৬ রানের লক্ষ্য, তার মধ্যে এ দুজন মিলেই ৮.৫ ওভারে তুলে ফেললেন ৭০ রান। প্রায় অর্ধেক পথ তাতেই পাড়ি দিয়ে ফেলল পাঞ্জাব। খুব বড় ভুল না করলে বাকি পথ পাড়ি দেওয়া খুব কঠিন ছিল না। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আইপিএলের ম্যাচে আজ পাঞ্জাব সেই ভুল করেনি। প্লে-অফে টিকে থাকার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত শাহরুখ খানের কলকাতাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব।
ওপেনার আগারওয়ালের ঝড় থেমেছে ২৭ বলে ৪০ রান তোলার পরই। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে সাজানো তাঁর ইনিংস। তবে তাঁর বিদায়ের পরও হাল ধরে রাখেন অন্য ওপেনার ও পাঞ্জাব অধিনায়ক রাহুল। প্রথমে নিকোলাস পুরানের সঙ্গে গড়েছেন ১৪ রানের জুটি, পরে এইডেন মার্করামকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ২৯ বলে ৪৫ রান। শেষ পর্যন্ত ২০তম ওভারের শিভাম মাভির হাতে ক্যাচ দিয়ে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের শিকার হয়ে পাঞ্জাব অধিনায়ক যখন মাঠ ছাড়েন, তাঁর নামের পাশে ৫৫ বলে ৬৭ রান। ৪টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা। শেষ দিকে ২৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার শাহরুখ খানের ৯ বলে ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৩ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় পাঞ্জাব।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে কলকাতা। আজও কলকাতার একাদশে সুযোগ পাননি সাকিব আল হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলকে ১৮ রানে রেখে ফেরেন শুবমান গিল (২)। এরপর ত্রিপাঠি (২৬ বলে ৩৪) ও রানার (১৮ বলে ৩১) সঙ্গে মিলে কলকাতাকে এগিয়ে নেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। সপ্তাহখানেক আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে আইয়ারের ব্যাটের ঝড় সইতে হয়েছিল। সেদিন ৩০ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ রান করেছিলেন এবারই প্রথম আইপিএলে খেলতে নামা ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। মাঝে চেন্নাই আর দিল্লির বিপক্ষে তেমন ভালো করতে পারেননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু আজ আইপিএলে আবার পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে আবার ব্যাটে ঝড় তুলেছেন আইয়ার। ৪৯ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান করেছেন আইয়ার। তৃতীয় উইকেটে রাহুল ত্রিপাঠির সঙ্গে তাঁর ৪৯ বলে ৭২ রানের জুটিই কলকাতার ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।
নিতিশ রানার সঙ্গেও ১৯ বলে ৩০ রানের জুটি। শেষ দিকে দীনেশ কার্তিক ও নিতিশ রানা জুটি গড়ে ১১ বলে তুলেছেন ২৫ রান। রানা শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১৮ বলে ৩১ রান করে। কলকাতা থেমেছে ৭ উইকেটে ১৬৫ রানে। কলকাতার স্কোরটা যে আরও বড় হয়নি, সেটার জন্য মোহাম্মদ শামি ও অর্শদীপ সিং কিছুটা কৃতিত্ব পাবেন। শেষের দিকের ওভারে লাগাম টেনে ধরেছেন পাঞ্জাবের দুই বোলারই। শেষ ৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান করেছে কলকাতা। অর্শদীপ ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট রবি বিষ্ণইয়ের, ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন শামি। সূত্রঃ প্রথম আলো