লাইফস্টাইল ডেস্ক : এমন অনেকেই আছেন যারা সারাক্ষণ অবসাদে ভোগেন। কোনো কিছু করতে গেলেই হাপিয়ে ওঠেন। না পান শক্তি, না পান কর্মস্পৃহা। শরীর ম্যাজম্যাজ করার পাশাপাশি ঘুম ঘুম ভাব লেগেই থাকে চোখে-মুখে।
অনেকে কম ঘুমানোকেই মূলত দোষারোপ করে থাকেন। নির্ঘুম রাত কাটানো ছাড়াও আরও অনেক কারণ থাকতে পারে ক্লান্তিবোধের। এমনকি আপনার অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে।
শরীরের ক্লান্তি বা অবসাদ দূর করতে হলে প্রথমেই যেটি প্রয়োজন তা হচ্ছে নিজের সচেতনতা। তাই সবসময় ক্লান্ত ভাব দূর করতে রইল কিছু টিপস।
খাবার এড়ানো
আপনি যখন আপনার নিযমিত খাবারকে এড়িয়ে যাবেন তখন শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরির ঘাটতি থেকে যাবে। ফলে প্রয়োজনীয় ক্যালোরির অভাবে আপনার শরীরে ক্লান্তভাব দেখা দিতে পারে। তাই ক্লান্তভাব দূর করতে হলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা যাবে না।
ভিটামিনের অভাব
ভিটামিনের অভাবে শরীরে ক্লান্তভাব দেখা দিতে পারে। আপনার শরীরে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের কারণে এমন হতে পারে। এ ক্ষেত্রে এসব উপাদানের ঘাটতি দূর করতে প্রকৃতিকভাবে যে খাবারগুলোতে এগুলো পাওয়া যায় সেগুলো খেতে পারেন। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।
অপর্যাপ্ত ঘুম
ঘুম আমাদের শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়। এটি আমাদের শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। একজন প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। এর চেয়ে কম ঘুম হলে সেটি আপনার সারাদিন ক্লান্তিভাব লাগাতে পারে। তাই প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে ৯ ঘণ্টা রাতের ঘুম নিশ্চিত করুন।
অতিরিক্ত ওজন
আপনার দেহের অতিরিক্ত ওজনও ক্লান্তিভাবের কারণ হতে পারে। তাই এ সমস্যা সমাধানে বয়স অনুযায়ী আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুন। এ জন্য নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন এবং তাজা ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।
ঘুমের ব্যাধি
স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো ঘুমের ব্যাধির কারণে আপনার সারাদিন ক্লান্তিভাব লাগতে পারে। এটি হলে ঘুমের সময় আপনার শ্বাস পরিপূর্ণভাবে চলাচল করতে পারে না। ফলে মস্তিষ্ক ও শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ না করতে পেরে সারাদিন ক্লান্তিভাব লাগতে পারে। এ রকম সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওযা উচিত।
অতিরিক্ত চাপ
অতিরিক্ত চাপ আপনার ক্লান্তিভাবের পাশাপাশি মাথাব্যথা, পেশি টান ও পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। আপনি যখন চাপে থাকেন, তখন আপনার শরীর অনেকটা যুদ্ধের মোডে চলে যায়। এতে ক্লান্তিভাব আসে খুব সহজেই।