Mir Afsar Ali: ডিমেনশিয়ার সঙ্গে লড়ছেন বাবা, মীর এর আবেগ বার্তা

Published By: Khabar India Online | Published On:

মীর আফসার আলি বা মীরের বুদ্ধিমত্তা, রসবোধ নিয়ে চর্চা সর্বত্রই। তিনি কখন কী করে বসেন তা হয়ত তিনি নিজেই জানেন না। মজার ছলে অনেক অপ্রিয় সত্যিকেও খুব সহজভাবে তুলে ধরেন মীর। আর ছদ্মবেশ ধরতে তো দারুণ ওস্তাদ মীর। আর মীরের সঞ্চালনায় ফিদা কত তা আর বলার উপায় নেই। রেড়িও হোক কিংবা মীরাক্কেল।

 মীর আজ নিজের ইন্সটাগ্রাম পেজে সময়ের বার্তা দিলেন। কিন্তু কেন? আজ ওয়ার্ল্ড অ্যালঝাইমার্স অ্যাওয়ার্সনেস ডে। এদিন সক্কাল সক্কাল আরজে মীর নিজের সামাজিক মাধ্যমের পাতায় নিজের বাবার একটি ছবি পোস্ট করেন। আর ক্যপশনে নিজের জীবনের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কিছু লিখেছেন, ‘আব্বার জন্মদিন ৪ঠা এপ্রিল। বছর পাঁচেক আগে আব্বাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, জন্মদিনে কী গিফ্ট চান তিনি। আমার খুব ঘড়ির শখ। নানান ধরণের মডেল। বিদেশি ঘড়ি আমার বিশেষ দুর্বলতা। তো আব্বাকে ভীষণ উৎসাহিত হয়ে বললাম, ‘আব্বা… এই বছর আপনার জন্য আমার তরফ থেকে ঘড়ি’। মুচকি হেসে আব্বা বললেন, ‘ঘড়ি নয় বাপি, আমায় একটু সময় দিস’।

আরও পড়ুন -  Kanchan As Tenida: অসন্তুষ্ট দর্শকরা, ‘টেনিদা’ কাঞ্চনকে দেখে, একাংশের দাবি, ছেলেবেলা নষ্ট না করার

এরপরেই নিজের বাবার ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানালেন। মীর লেখেন, ‘ঘটনাটা আমার যতটা স্পষ্ট মনে আছে, আব্বার স্মৃতিতে সেটা ততটাই ঝাপসা। গত ৪ বছর ধরে ডিমেনশিয়ার সঙ্গে লড়াই করছেন তাঁর আব্বা। এখন তাঁর কিছুই মনে থাকে না। দিনক্ষণ, সাল, সময় – কোন কিছুরই জ্ঞান বিশেষ নেই। হ্যাঁ, এখনও চিনতে পারেন মীরকে। ছেলেএ নাম ধরে ডাকেন। আব্বা বললে সাড়া দেন। তাঁর বাবার চিকিৎসা চলছে। তিনি আশাবাদী আশাবাদী। ডাক্তারদের উপর নিজের অগাধ বিশ্বাসের কথাও জানান।

আরও পড়ুন -  রেল লাইনের ধার থেকে মৃত সদ্যজাত উদ্ধার

গত চার বছর ধরে তাঁর শ্রদ্ধেয় বাবা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি জানেন,তাঁর ছেলে অনেকটাই জনপ্রিয়। তবু তিনি দামী উপহার নয় জন্মদিনে ছেলের কাছে আবদার করেছিলেন একটু সময়ের। তাইতো আজ ও মীর এই সময়কে সবথেকে বেশি মূল্য দেন। সময় যে ভীষণ দামি, ওয়ার্ল্ড অ্যালঝাইমার্স অ্যাওয়ার্সনেস ডে’ সময়কে মূল্য দেওয়ার বার্তা শোনা গেল মীরের মুখে। বাবার বলা কিছু মূল্যবান কথা সামাজিক মাধ্যমের পাতায় নিজের অনুগামীদের সাথে শেয়ার করলেন তিনি।

আরও পড়ুন -  কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শনিবার মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরের বুকে মিঠুন চক্রবর্তীর সভায় ভিড় করলেন কয়েক হাজার মানুষ

সবশেষে মীর পোস্ট করে জানিয়েছেন, ‘আপনার বাড়িতেও কি এমন কেউ আছেন যিনি কাজে মন দিতে পারছেন না, সব ভুলে যাচ্ছেন এক এক করে? অবহেলা করবেন না। দেরী করবেন না। তাঁদের দূরে ঠেলে দেবেন না। যাঁদের আজকাল মনে থাকে না, তাঁদের আরও বেশি করে মনে ধরে রাখুন। ভাল থাকবেন সবাই’। তিনি আরো জানান লড়াই শুধু একজন ব্যক্তির নয়, আশেপাশের সকলের। তাই সবাইকে একসাথে থাকার স বার্তাও উঠে এসেছে মীরের পোস্টে।