পরীমনির এমন পাগলামিতে অনেকেই আহত হয়েছিল আবার অনেকে সাহসি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাদের মতে, কারাবাস শেষে পরীর আরও সংযত হওয়া উচিত ছিলো। আবারও পরীমনি হাজির হলেন হাতে মেহেদির রঙে নতুন লেখা নিয়ে। তবে এবার তিনি ভালোবাসতে না করেননি। বরং আগের চেয়ে বেশি ভালোবাসা চেয়েছেন সবার কাছে। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে যান তিনি। এসময় তার হাতে দেখা যায় লেখা, ‘— মি মোর’। আগেরবারের মতোই এবারের লেখাটিও নজর কেড়েছে সবার।
এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কারামুক্তি হন পরীমনি।
গত ৪ আগস্ট ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে’ অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাড়ি থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই দিনই রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। এরপর তাকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আরও দুই দফায় তিন দিনের রিমান্ডে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাড়িতে একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাড়িতে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাড়িতে অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন। ২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন।