বিশ্ব জুড়ে আয়ুর্বেদ ও অন্যান্য ভারতীয় পরম্পরাগত চিকিৎসা-পদ্ধতির প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে আয়ুষ মন্ত্রক আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্যে আয়ুষ সহ অন্যান্য ভারতীয় পরম্পরাগত ওষুধপত্রের রপ্তানি সম্ভাবনা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসারে ফার্মাকোপিয়া কমিশন ফর ইন্ডিয়ান মেডিসিন অ্যান্ড হোমিওপ্যাথি (পিসিআইএম অ্যান্ড এইচ) এবং আমেরিকান হার্বাল ফার্মাকোপিয়া গত সোমবার এক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে।
ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। দু’দেশের মানুষের কল্যাণে ও পারস্পরিক স্বার্থে আয়ুর্বেদ সহ অন্যান্য ভারতীয় পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির প্রসার ও উন্নয়নে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে আয়ুষ ওষুধপত্রের রপ্তানি সম্ভাবনার পথ আরও সুগম হবে। এছাড়াও, চুক্তি অনুযায়ী, এই যৌথ গোষ্ঠী গঠিত হবে। এই গোষ্ঠী পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে আয়ুষ ওষুধপত্রের নিরাপত্তা ও গুণমান সম্পর্কে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আস্থা বাড়বে বলে মন্ত্রক মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়ুর্বেদ সামগ্রী বিপণনে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, তা চিহ্নিত করতে দুই প্রতিষ্ঠানের এই অংশীদারিত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। এমনকি, সেদেশে ভেষজ ওষুধ উৎপাদকদের গুণমান বজায় রাখা আরও সহজ হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়ুষ সামগ্রী ও ওষুধপত্রের বিপণন স্বীকৃতির ক্ষেত্রে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই সহযোগিতাকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, আয়ুর্বেদ ও অন্যান্য ভারতীয় পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ওষুধপত্রের বিষয়ে একটি ডিজিটাল ডেটাবেস গড়ে তোলার প্রস্তাব রয়েছে। সেই অনুযায়ী, আয়ুষ ও অন্যান্য ভারতীয় পরম্পরাগত চিকিৎসা পদ্ধতি ও ওষুধপত্রের গুণমান প্রসারে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত হবে।
দেশে ও বিদেশে আয়ুষ তথা অন্যান্য ভারতীয় পরম্পরাগত চিকিৎসা পণ্যের গুণমান বাড়াতে আয়ুষ মন্ত্রক যে সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তাতে দু’দেশের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি আরও গতি সঞ্চার করবে। উল্লেখ করা যেতে পারে, আয়ুর্বেদ ও অন্যান্য আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগে জীবনশৈলী সম্পর্কিত বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধ করা সম্ভব। জীবনশৈলী সম্পর্কিত অসুখ-বিসুখ এখন সারা বিশ্ব জুড়েই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। সূত্রঃ পিআইবি।