খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল সংগঠনের (ইপিএফও) পক্ষ থেকে গত ২০ জুলাই বেতন-ভিত্তিক প্রাথমিক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের মে মাসে অধিকাংশ শিল্প শ্রেণী বিন্যাসের দরুণ নতুন তালিকাভুক্তি শুরু হয়েছে। এর ফলে, গ্রাহক সংখ্যা গত মে মাসে এপ্রিল মাসের তুলনায় প্রায় ১ লক্ষ বেড়ে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার হয়েছে। লকডাউন সত্ত্বেও এপ্রিল মাসে ইপিএফও-র সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলিতে নতুন ১ লক্ষ গ্রাহক নথিভুক্ত হয়েছিলেন। ইপিএফও-র পক্ষ থেকে নতুন গ্রাহকদের যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাঁরা আলোচ্য মাসে যোগদান করেছিলেন অথবা তহবিলে তাঁদের অনুদান গৃহীত হয়েছিল।
নতুন গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ ইপিএফও-র গ্রাহক ভিত্তিতেও অগ্রগতি হয়েছে। তহবিলের সদস্য থেকে কম সংখ্যায় গ্রাহকের প্রস্থান এবং অধিক সংখ্যায় নতুন গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তির দরুণ মে মাসে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মে মাসে গ্রাহক সংখ্যা এপ্রিল মাসের ১ লক্ষ ৬৭ হাজার থেকে ৬৬ শতাংশ বেড়ে ২ লক্ষ ৭৯ হাজার হয়েছে। এছাড়াও, ইপিএফও-র গ্রাহক ভিত্তি থেকে সদস্যদের প্রস্থানের হার এপ্রিল মাসের ২ লক্ষ ৯৭ হাজার থেকে ২০ শতাংশ কমে মে মাসে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার হয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, গত এপ্রিল মাসে ভবন ও নির্মাণ ক্ষেত্র, হোটেল, পরিবহণ, ইলেক্ট্রিক, শিক্ষা ও বস্ত্রক্ষেত্রে কোভিড-১৯-এর বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। বিশেষজ্ঞ পরিষেবা দিয়ে থাকে এমন শিল্প সংস্থাগুলিতে প্রতি মাসে প্রায় ৪ লক্ষ করে নতুন সদস্য ইপিএফও-তে যোগদান করেন। কিন্তু গত এপ্রিল মাসে এই ক্ষেত্রগুলি থেকে কেবলমাত্র ৮০ হাজার নতুন সদস্য ইপিএফও-তে নাম নথিভুক্ত করেছেন। শিক্ষাক্ষেত্র ছাড়া বাকি সমস্ত ক্ষেত্র লকডাউনের দরুণ প্রভাবিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ক্ষেত্রগুলিতে মে মাসে বিকাশ হার নিম্নমুখী হয়েছে। এসব সত্ত্বেও মে মাসে ইপিএফও-তে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার নতুন গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। নতুন প্রতিষ্ঠান নথিভুক্তির ক্ষেত্রেও গত মে মাসে অগ্রগতি হয়েছে। আলোচ্য মাসে ইপিএফও-তে গত এপ্রিল মাসের তুলনায় প্রতিষ্ঠানের নথিভুক্তির হার ৭২ শতাংশ বেড়ে ৮,৩৬৭ হয়েছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ইপিএফও ভারতে সংগঠিত / আধা-সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত তহবিলগুলি পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে ইপিএফও-র সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটির বেশি। যেহেতু কর্মচারীদের নাম নথিভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া নিরন্তর চলতে থাকে, তাই বেতন-ভিত্তিক তথ্য প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত তথ্য পরবর্তী মাসগুলিতে প্রকাশ করা হয়। সূত্র – পিআইবি।