প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের সঙ্গে মন্ত্রিসভার এক সদস্যের তীব্র বাকবিতাণ্ডা হয় বলে গোষ্ঠীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি মোল্লা বারাদারকে প্রকাশ্যে দেখা না যাওয়ার পর থেকে তালেবান নেতাদের মধ্যে মতবিরোধের অসমর্থিত খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এসব প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।
গত মাসে কাবুলের পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে পরাজিত করে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান, তারপর দেশটিকে ‘ইসলামিক আমিরাত’ হিসেবে ঘোষণা করে। গত সপ্তাহে ঘোষিত তাদের অন্তর্বর্তী সরকারের সবাই পুরুষ এবং তালেবানের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নিয়েই তা গঠন করা হয়েছে, এদের মধ্যে কয়েকজনকে যুদ্ধ চলাকালে সবচেয়ে ভয়াবহ কিছু আত্মঘাতী হামলার জন্য দায়ী করা হয়।
তালেবানের এক কর্মকর্তা বিবিসি পশতুকে বলেছেন, মোল্লা বারাদার ও শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রভাবশালী নেতা খলিল উর-রহমান হাক্কানির মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়েছে, ওই সময় কাছেই তাদের সমর্থকদের মধ্যেও ঝগড়া শুরু হয়ে যায়।
কাতারভিত্তিক একজন ঊর্ধ্বতন তালেবান সদস্য এবং ঐ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা এক ব্যক্তি গত সপ্তাহে হওয়া তর্কাতর্কির কথা নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাঠামো নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী বারাদার আর এই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়।
বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তাদের জয়ের কৃতিত্ব তালেবানের কোন অংশ পাবে এই নিয়ে বিভাজন থেকেই দ্বন্দ্বের উৎপত্তি।