খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ একের পর এক স্বর্ণযুগের শিল্পীরা চলে যাচ্ছেন। চলে গেছেন কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee), স্বাতীলেখা (Swatilekha)। এবার চলে গেলেন স্বর্ণযুগের গায়িকা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী প্রতিমা মুখোপাধ্যায় (Pratima Mukherjee)।
সুচিত্রা মিত্র (Suchitra Mitra), কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Kanika Banerjee) র সমসাময়িক ছিলেন প্রতিমা। প্রতিমার কন্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত বিখ্যাত হয়েছিল পাঁচের দশকে। গীতবিতানের ছাত্রী ছিলেন প্রতিমা। তাঁর গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস (Debabrata Biswas)। প্রতিমার মাথায় হাত দিয়ে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করেছিলেন তিনি। পরে তাঁর কাছে গান শিখেছিলেন প্রতিমা। একসময় আকাশবাণীর নিয়মিত শিল্পী ছিলেন তিনি। ষাটের দশকের গোড়ায় গ্রামোফোনে তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘পথে যেতে ডেকেছিল মোরে’ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়। 1958 সালে তিনি রাশিয়া পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন শহরে চল্লিশ দিন ধরে রবীন্দ্রসঙ্গীতের কনসার্ট করেছিলেন প্রতিমা। রাশিয়ার দর্শক মুগ্ধ হয়েছিলেন প্রতিমাকে দেখে এবং তাঁর গান শুনে। পঞ্চাশের দশকের শেষে মহাজাতি সদনের একটি অনুষ্ঠানে প্রতিমা শুনিয়েছিলেন ‘বঁধূ ! কোন আলো লাগলো চোখে !’ গ্রীনরুমে বসে অনুষ্ঠানের সভাপতি দেবব্রত বিশ্বাস শুনেছিলেন প্রতিমার সেই গান। এরপরেই প্রতিমাকে গান শেখানোর কথা মনস্থ করেন তিনি।
View this post on Instagram
প্রতিমার মেয়ে সোমা বসাক (Shoma Basak) জানিয়েছেন, কেরিয়ারের শুরুতে প্রতিমা আধুনিক গান ও পল্লীগীতিও গাইতেন। তাঁর সেই গানের রেকর্ড ছিল। পরে শ্রোতাদের অনুরোধে তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে শুধুমাত্র গায়িকা হিসাবেই নয়, শিক্ষিকা হিসাবেও প্রতিমা ছিলেন প্রসিদ্ধ। আকাশবাণীতে গান গাওয়ার পাশাপাশি প্রতিমা বহু বছর বিদ্যাভারতী এবং আওয়ার লেডি কুইন অফ দ্য মিশন স্কুলে গানের শিক্ষকতা করেছেন।