উপ-নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই, ৮টি কারণ ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিল রাজ্য বিজেপি

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   রাজ্যে উপনির্বাচন এর পরিস্থিতি নেই, এখনো পর্যন্ত আরো বেশ কিছুদিন যদি উপনির্বাচন না হয় তাহলেও কোন আপত্তি নেই। পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। লোকাল ট্রেন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ, যানবাহনের চলাচল কম রয়েছে। একদিকে যখন দ্রুত উপ নির্বাচনের তাগাদা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেখানে কিছুটা তাদের চাপে ফেলার জন্য এখনই উপ নির্বাচন করা উচিত নয় বলে মনে করছে বিজেপি।

ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক হয়নি। লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাস চলাচল কম লোকজন নিয়ে হচ্ছে, তার মধ্যে আবার তৃতীয় ঢেউ আসার সম্ভাবনা রয়েছে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে। এই দুটি মাস বাংলার পুজোর মাস। অবস্থায় দাঁড়িয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এখনই নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে বিজেপি।

আরও পড়ুন -  এবার পুরভোট করুন, পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে , কটাক্ষ অনির্বাণের

পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিধি নিষেধের কথা তুলে ধরে ভারতীয় জনতা পার্টি বলছে, বিধি-নিষেধের দোহাই দিয়ে কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে, কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী সকলকে। করোনা ভাইরাসের কারণে এখনো পর্যন্ত ১২২ আসনের পুরভোট নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় দাড়িয়ে, বিজেপি কোনভাবেই মনে করছে না এই সময় নির্বাচন নেওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন -  তৃণমূলে যোগদান করলেন, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ( Tanmoy Ghosh )

করোনাভাইরাস এর সময়ে নির্বাচন করা যাবে কিনা সেই যুক্তি দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের মতামত জানানোর কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। এই মতামত তাদেরকে পেশ করতে হতো ৩০ আগস্টের মধ্যে। যেখানে, বিজেপি সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তাদের মতামত জানানো হবে। তবে তার আগেই রাজ্য নেতৃত্বে তরফ থেকে নিজেদের অবস্থান সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট করে দেওয়া হল। রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছে, তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, এবং এই কারণে বর্তমানে নির্বাচন দেওয়ার কোন মানে থাকেনা। এই কারণেই এখন নির্বাচন না করে পরে নির্বাচন করা উচিত।

আরও পড়ুন -  Verandah: শান্তির সবুজ বারান্দা