খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ আগেকার দিনে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হতো। তারা অনেক ছোট বয়সেই মাতৃত্বের স্বাদ পেতেন কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি একেবারে পাল্টে গেছে বিবাহের বয়স হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ বছর। প্রতিষ্ঠিত হয়ে তারপরেই মেয়েরা বিবাহ করতে চায়, আর তার বেশ কিছুদিন পরে মাতৃত্বের স্বাদ নিতে চায়। কারণ আগেকার দিনে ছেলেপুলে হতে হলে তাদের সামলানোর জন্য মা, ঠাকুমা, দিদিমা, কাকিমা প্রত্যেকে থাকতেন। কিন্তু বর্তমানে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি তে যেখানে হাসবেন্ড, ওয়াইফ দুজনেই চাকরি করে সেই রকম পরিস্থিতিতে মা হতে সহজে মেয়েরা চায় না।
এখন দিনের মেয়েরা অতিরিক্ত ক্যারিয়ারিস্ট। তাই সন্তান এর জন্য তারা অনেকদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন একেবারে কম বয়সে অর্থাৎ ১৮/১৯ বছর বয়সে মা হওয়া টাও যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়, তেমনি ৩০ – ৪০ বছর পরে স্বাস্থ্যের জন্য মা হওয়া কিন্তু ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। বর্তমানে নারীদের জীবনযাত্রা অনেক ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। তারা পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চাকরি করতে বের হচ্ছে এর ফলে বাইরে খাবার সম্ভাবনা তাদের মধ্যে অনেকাংশে বেড়ে যাচ্ছে। ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি এর অভাবে তাদের মধ্যে নানান রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে এছাড়াও মানুষের জন্য শরীরের ভেতরে হরমোনাল ব্যালান্স দেখা দিয়েছে যার ফলে ৩৫ বছরের পরেই মা হওয়াটাও সমস্যাপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তাই সময়-সুযোগ করে ২৫ – ৩৫ বছরের মধ্যে মা হওয়ার চেষ্টা করুন। তবে মা হওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। আপনার শরীরের কি কমতি আছে না আছে, সেই কমতি অভাব এর ঘাটতি পূরণ করে তবে নতুন করে দেবে প্ল্যানিং করতে পারেন।
বেশি বয়সে মাতৃত্ব এলেই নানান রকম সমস্যা হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা, পলিসিস্টিক ওভারি তে সন্তান আসতে অসুবিধা হতে পারে। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত ক্যারিয়ারিস্ট হয়ে থাকেন আপনি যদি অনেক দেরিতে সন্তান নিতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত জাঙ্কফুড খাওয়া যাবেনা। পরিশ্রম করতে হবে, যোগাভ্যাস ব্যায়াম ও দৌড়াদৌড়ি হাঁটাহাঁটি করতে হবে।