তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভা

Published By: Khabar India Online | Published On:

টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ পান্ডবেশ্বর বিধান সভার জামবাদে সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি। সেই সভায় এলাকার সিপিআই (এমএল)র ৪৮ টি পরিবার তৃনমুল কংগ্রেসে যোগ দান করেন। সভায় পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, মানুষ দুধ খেয়ে, দেবতা অমৃত ও রাক্ষস রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু গোটা বিশ্বের বিষ ভগবান শিব খেয়ে পুরো মানবিকতাকে রক্ষা করেন। প্রতিটা বাড়িতে কেউ না কেউ শিবের ভক্ত হন। যে সবার কথা শুনে সবকিছু ঠিক করেন৷ যে ঘরে এমন ধরনের মানুষ থাকেন, সেখানে সুখ শান্তি সব সময় থাকে। তিনি আরো বলেন, বাংলার যে পরিস্থিতি, তাতে এই সময় এমন একজন মানুষের দরকার, যিনি গোটা বাংলার মানুষদের রক্ষা করেন। এমন ধরনের মানুষ হলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বাংলার মানুষদের সব দুঃখ দূর্দশাকে দূর করছেন। তিনি আরো বলেন, এখানের ওসিপি থেকে জোরজবরদস্তি করে কয়লা কাটা হয়েছে। সেই সময় আমাদের ভুল হয়েছিলো। পরে আমি তা জানতে পারি।

আরও পড়ুন -  Iman Chakraborty: দাদার সামনে ফাঁস করলেন গায়িকা ইমন ! কি ?

সেই সময় আমাদের দলের নেতারা ইসিএলের ভুল নীতিকে সমর্থন করেছিলেন। নির্বাচনের সময় আমি যখন এখানে এসে বলেছিলাম, এখান কার মানুষ দের সঙ্গে অন্যায় হতে দেবোনা। যতক্ষণ পর্যন্ত না এখান কার মানুষ দের পুনর্বাসন না হচ্ছে, ততক্ষণ এখানে কোন কাজ হবেনা। ইসিএল এগিয়ে চলুক। কিন্তু ইসিএলের উন্নতির জন্য সাধারণ মানুষের জীবনে দুঃখ দূর্দশা হবে, তা মেনে নেবোনা। কয়লা রাষ্ট্রীয়করণের সময় বলা হয়েছিলো কয়লা উৎপাদন কারী সংস্থা আশপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেবে। কিন্তু, সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে। এখান থেকে ইসিএল কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে। এখানের সব কাজ বাইরের লোকেরা করছেন। এখানে বাইরের লোকেরা এসে ৩০/৪০ বছর ধরে আছেন৷ কখনো বাড়ি খালি করানোর জন্যে জল ও বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হচ্ছে। এইসব চলবে না। এর বিরুদ্ধে তৃনমুল কংগ্রেসের লাগাতার আন্দোলন করবে। ওসিপি ও কোলিয়ারির আশপাশের গ্রামে বিনা মূল্যে পানীয় জল, বিদ্যুৎ ও রাস্তা করে দিতে হবে। গরীব মানুষদের আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরীর জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এখান কার মানুষেরা আমাদের সঙ্গে এলে আমরা আরে ভালো করে লড়াই করতে পারবো৷ যারা লড়াই করতে পারেন, তাদেরকে আমাদের দলে স্বাগত। আমরা সবাই মিলে লড়াই করবো।সবার মান সম্মান ঠিক রাখতে হবে। আমাদের প্রধান শত্রু ইসিএল ও বিজেপি। সরকারি সংস্থাকে বেসরকারি করে দেওয়া হচ্ছে। রেলমন্ত্রী, কয়লামন্ত্রী ও ইস্পাত মন্ত্রী নিজেদের দপ্তর চালাতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ চালাতে পারছেন না। যদি আপনারা মমতা বন্দোপাধ্যায় ও আমাকে ভালোবাসেন তাহলে বিনা মাস্কে থাকবেন না। তার সঙ্গে সোশাল ডিস্টেন্স মেনে চলুন৷ বিবাদ নয় উন্নয়ন চাই। নিজেদের মধ্যে লড়াই করে দুষমনকে সুযোগ করে দেবেন না।

আরও পড়ুন -  করোনা আক্রান্ত সুশান্ত রায়, উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি