খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ ইতিমধ্যেই রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যেই সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে তৃণমূল ও বিজিপির মধ্যে। একদিকে যেমন বিজেপি তৃণমূলের প্রত্যেকটি কর্মসূচিকে একের পর এক কটাক্ষ করে চলেছে। তেমনি আবার তৃণমূল নিজেদের প্রকল্পকে ভালো প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু তার মধ্যেই উপকূলের জেলায় রাজ্য সরকারি কর্মসূচি সফল করার জন্য ক্যাম্প করে বসেছেন একজন বিজেপি নেত্রী। এই উলট পূরাণের জন্য রীতিমতো চাঞ্চল্য এবং রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
বিরোধীরা যেখানে প্রত্যেকটি প্রকল্পকে কাটাছেঁড়া করতে ব্যস্ত রয়েছেন সেখানেই তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। গেরুয়া শিবিরের এই রকম আচরণকে রীতিমতো চাঞ্চল্যের চোখে দেখছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে বিজেপি জয়া নায়েক সাফাই দিচ্ছেন, এই প্রকল্প সম্পূর্ণরূপে মানুষের জন্য। এই কারণেই তিনি সকলের উদ্দেশ্যে ক্যাম্প তৈরি করেছেন।
ইতিমধ্যেই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য শিবিরে শিবিরে ভিড় লেগে গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে তবুও হ্যামিল্টন হাই স্কুলে। এখানেই চোখে পড়ল এই রকম একটি অভূতপূর্ব দৃশ্য। দেখা যাচ্ছে সরকারি প্রকল্প সাহায্য করার জন্য ক্যাম্প তৈরি করে বসে রয়েছেন একজন বিজেপি নেত্রী। আর এই বিষয়টি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রীতিমতো চাপে পড়েছে বিরোধী শিবির।
শুভেন্দু অধিকারীর জায়গায় এইরকম একটি ঘটনায় রীতিমতো বিব্রত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছিলেন তোমরা পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার জয়া দাস নায়েক। কিন্তু ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যেসব সাধারণ মানুষ দুয়ারে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন তাদের সাহায্য করার জন্য তিনি এগিয়ে এসেছেন। বিজেপি নেত্রী বলেছেন, “আমি মূলত লক্ষীর ভান্ডার এর কাজ করছি। এছাড়াও স্বাস্থ্য সাথী, রেশন কার্ড ডিজিটালাইজেশন এবং সংশোধন আমি করছি।এই সরকার টা সবার। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া এই সরকারের উদ্দেশ্য। এই কারণেই আমি ক্যাম্প তৈরি করেছি। আমি শুনেছি কোথাও কোথাও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে এই ফরমের জন্য। এই কারণে আমি এখানে ক্যাম্প তৈরি করে লক্ষ্য রাখছে যেন কোনভাবেই কোনরকম জোচ্চুরি না হয় এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে। আমি আশা করি সকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে যাবেন।”