খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ বর্তমানে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। আগেকার দিনে গুটিকতক মানুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিত। তাও বিশেষত নারীকেই দোষারোপ করা হতো। যদি সমস্যা নারীর দিক থেকে আসে অথবা পুরুষের দিক থেকে আসে দুদিকের কোন দিক থেকে এলেই কাউকে দোষারোপ করা উচিত না। কারণ কেউ সত্যকে মেনে নিতে চায় না। আর আগেকার দিনে বা এখনো পর্যন্ত সমাজে নারীকেই নানাভাবে দোষারোপ করা হয়, কিন্তু পুরুষের পরীক্ষার প্রয়োজন আছে একথা সমাজের প্রতিটা মানুষের বোঝা উচিত।
কারণ বন্ধ্যাত্বের সমস্যা এখন পুরুষদের মধ্যেও প্রকট হয়েছে। একেকজনের একেক রকম সমস্যা। যদিও এর মধ্যে মহিলাদের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। মহিলাদের শরীরের মধ্যে জরায়ুর গঠন, অথবা ফ্যালোপিয়ান টিউবের কোন সমস্যা কিংবা ওভারিয়ান সিস্ট অথবা থাইরয়েড প্রভৃতি নানা কারণে শরীরের ভেতরে ডিম্বাণু নিষিক্ত হতে পারেনা। আবার এমন অনেক সমস্যা দেখা গেছে, যেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পুরোপুরি সুস্থ কিন্তু তাও সুস্থ-সবল সন্তান আসতে চাইছে না। সেক্ষেত্রে শরীরের মেটাবলিজম এর জন্য দায়ী হতে পারে। বর্তমানে আমাদের নানান রকম জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও আমাদের জীবনযাত্রা নানান রকম ভাবে বিভিন্ন ভাবে ব্যতিব্যস্ত হয় বর্তমানে আমাদের অনেক কাজে বসে বসে করতে হয় আমাদের কায়িক পরিশ্রম প্রায় হয় না বললেই চলে। এ ছাড়া ঘরের মধ্যে এসি চালিয়ে সারাক্ষণ কম্পিউটার ল্যাপটপ কিংবা এন্ড্রয়েড ফোনের সামনে থাকলে শরীর ভেতর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করবে এটাই স্বাভাবিক।কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে তবেই আপনি সহজে গর্ভবতী হতে পারবেন ১) মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। যদিও এই রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যারা যাচ্ছেন। তাদের মানসিক চাপ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যতটা চেষ্টা করবেন মানসিক চাপ বা স্ট্রেস থেকে মুক্তি পান ঘরের মধ্যে গার্ডেনিং করতে পারেন, গান শুনতে পারেন, রান্না করতে পারেন, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প হাসাহাসি করতে পারেন এতে মন অনেক ভালো হবে।
২) শারীরিক সঙ্গমের সময় আনন্দ করে সঙ্গম করুন। শুধুমাত্র বাচ্চা নেওয়ার জন্য সঙ্গম করবেন না এতে মানসিক চাপ অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়।
৩) এমন কিছু কিছু মশলা আছে, যেগুলো যেমন লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি এগুলো আপনাকে রোজ সেবন করতে হবে। সেবন করার পদ্ধতি আপনি চায়ের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে খেতে পারেন মিষ্টি জাতীয় জিনিস কম খেতে হবে। এবং প্রতিদিন যোগাভ্যাস ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে হবে। এতে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে যাতে শরীরের মধ্যে হরমোনাল ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৪) শারীরিক মিলন প্রতিদিন করলেই যে সন্তান আসবে এমনটা নয়। প্রতিদিন শারীরিক মিলন করলে শরীরের ক্লান্তি চলে আসতে পারে এতে কিন্তু সন্তান না আসার সম্ভাবনাই বেশী তাই একদিন অন্তর একদিন শারীরিক মিলন করতে পারেন।
৫) স্বাভাবিকভাবে ঋতুস্রাব শেষ হওয়ার পর থেকে ঋতুস্রাবের প্রথম দিন থেকে দিন হিসাব করে দশ দিন পর থেকে আপনি শারীরিক মিলন করলে তবে সেই মিলনের ফলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে এই নিয়ম সবার ক্ষেত্রে কিন্তু এক নয় যাদের পিরিওডের টাইম অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়মটা হতে পারে কিন্তু যাদের মোটামুটি দুই থেকে তিন দিন হয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায় তাদের কিন্তু মোটামুটি ঋতুস্রাবের প্রথম দিনের পর থেকে হিসাব করে ছয় থেকে সাত দিনের মাথায় থেকেই রিস্ক ডেট অর্থাৎ আপনার গর্ভবতী হওয়ার সময় শুরু হয়ে যেতে পারে।
৬) যৌনসঙ্গমের পরে যখন বীর্য যৌনাঙ্গের ভেতরে প্রবেশ করবে। ঠিক তখনই উঠে পড়ে বাথরুমে গিয়ে হঠাৎ করে ফ্রেশ হতে যাবেন না। কিছুক্ষণ বিছানার মধ্যে অমনভাবে শুয়ে থাকুন পারলে নিতম্বের তলায় দুটো বালিশ দিয়ে রাখুন, যাতে সহজেই বীর্য আপনার যৌনাঙ্গের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
৭) কোন সঙ্গমের সময় যে কোন পজিশন আপনি ট্রাই করতে পারেন, মানে যেটা আপনার পক্ষে কম্ফোর্টেবল লাগে, কিন্তু আপনি যদি গর্ভবতী হতে চান, তাহলে অবশ্যই মিশনারি পজিশন অর্থাৎ নারীর উপরে পুরুষ এমনভাবেই পজিশন নিয়ে আপনাকে যৌনসঙ্গম করতে হবে।
উপরের নিয়ম গুলো মোটামুটি মেনে চললে আপনার পক্ষে গর্ভবতী হওয়া স্বাভাবিক তাও কয়েকদিন দেখার পর যদি কোনরকম ভাবে কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।