টাকা তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   ১০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগে বিষ্ণুপুরে প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হলেন গ্রেফতার। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তিনি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বিরুদ্ধে পুরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত বেশ কিছু আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত রবিবার শ্যামাপ্রসাদ এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই নিরিখেই তাকে রবিবার রাত্রবেলা গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পরেই ইতিমধ্যেই তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। যদিও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির কোন দায় নিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি।

আরও পড়ুন -  Ration Card: রেশন কার্ডধারীদের জন্য বড় সুখবর, আধার লিঙ্কের সময়সীমা বাড়ল

বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে অনেকেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। এই একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন তাকে হয়তো টিকিট অফার করবে বিজেপি। কিন্তু তার নিজের কেন্দ্র থেকে থেকে প্রার্থী করা হয়নি ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে।

আরও পড়ুন -  দল বিরোধী কাজের জন্য একজন জেলা পরিষদের মেম্বার সহ মোট ১৬ জনকে শোকজ করল বিজেপি

তার পরিবর্তে বিজেপির প্রার্থী হন তন্ময় ঘোষ। এরপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর সমস্যা শুরু। শ্যামাপ্রসাদ অভিযোগ করেন, তন্ময় ঘোষ নামে যে ব্যক্তি বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সেই ব্যক্তি নাকি তিন কোটি টাকার বিনিময় টিকিট কিনেছেন। অভিযোগটিকে খুব একটা পাত্তা দিতে চায়নি ভারতীয় জনতা পার্টি। নির্বাচনের টিকিট না পাওয়ার পরে শ্যামাপ্রসাদ আবারো তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁকে আর গ্রহণ করা হয়নি। তাই অগত্যা বিজেপিতে ছিলেন এতদিন। এরপর তার বিরুদ্ধে উঠলো বড়োসড়ো টাকা তছরুপের অভিযোগ, যা নিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে বিজেপি। ফলে শ্যামাপ্রসাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কার্যত টালমাটাল।

আরও পড়ুন -  অবশেষে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা দলবদল নিয়ে, বাবুল সুপ্রিয়