খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ আফগান মুলুকে ইতিমধ্যেই নিজেদের আধিপত্য কায়েম করে ফেলেছে তালিবানরা। তবে এই আধিপত্য কায়েমের পরেই শুরু করে দেওয়া হয়েছে তাদের চিরপরিচিত সন্ত্রাসবাদ। এই সন্ত্রাসের কালো ছায়া আবারো এসেছে আফগান জনতার ওপরে। বাইরে শান্তির বার্তা প্রচারক এই জঙ্গি বাহিনী বারংবার নিজেদের কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছে তারা কোনোভাবেই এখনো নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। শান্তিকামী মুখোশের আড়ালে থেকে বেরিয়ে আসছে সন্ত্রাসের আসল চেহারা। এই অবস্থায় আবারো ২০ বছর আগেকার সন্ত্রাসের আবহ ফিরিয়ে আনতে পারে তালিবান, এই সম্ভাবনা সকলের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই তালিবানরা আফগান মুলুকে একাধিক সমস্যা শুরু করেছে। রবিবার থেকেই কাবুলে হু হু করে তারা আফগান জনতাকে মারতে শুরু করেছে। তবে সেখানেই থেমে থাকা না, বরং তারা তাদের সমস্ত শত্রুদের দমনে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তারা ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে ভারতের দূতাবাসে কর্মরত মানুষদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর এরপরেই টুইট করে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, ‘ হিংস্রতা এবং বর্বরতা দিয়ে স্থাপন করা শাসন কখনো বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনা। সন্ত্রাস দিয়ে যে জিনিস স্থাপন করা হয় সেটার স্থায়িত্ব অনেকটাই কম।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন তালিবান রাজ নিয়ে নিজের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন আজকের এই টুইট বার্তায়।
অন্যদিকে আবার আজকে তালিবানের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা তাদের সঙ্গে চীনকে জুড়তে চাইছে। স্পষ্ট ভাষায় তারা চীনের সঙ্গে হাত মেলানোর বার্তা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের উন্নতিতে চীনকে তারা আহ্বান করতে চাইছে। চীনের অর্থনীতি খুবই ভালো এবং অনেকটা বৃহৎ। ঠিক এই কারণেই চীনের অর্থনীতি যদি আফগানিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে আফগানিস্তানের সুবিধা হবে। যদিও এই বক্তব্যের পর বিতরকের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানের ঘরে ঘরে ঢুকে ইতিমধ্যেই তালিবানরা তাদের শত্রুদের খোঁজা শুরু করে দিয়েছে। ২০ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে তালিবানিরা। প্রত্যেকটা বাড়িতে খোঁজ চালানো হচ্ছে। তল্লাশি চালিয়ে খুঁজে বের করা হচ্ছে সেখানে কোন ন্যাটো বাহিনী কিংবা রাষ্ট্রসঙ্ঘের দুতেরা লুকিয়ে আছেন কিনা। কার্যত গোটা দেশে রীতিমতো আবারো বন্দুকের শাসন চালু করেছে তালিবান।