খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি কে হারাতে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাথে জোট করতে প্রস্তুত কংগ্রেস। আজকে এমনটাই কার্যত জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। তিনি বললেন, ত্রিপুরায় নতুন করে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে গণ্য করতে শুরু করে কংগ্রেস তাহলে সেটা ত্রিপুরার রাজনীতি ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, “ত্রিপুরায় যদি তৃণমূল কংগ্রেস একটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে আসে তাহলে আমরা ত্রিপুরায় বিজেপিকে হারানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে জোট করতে প্রস্তুত। দলটা সবেমাত্র রাজনীতি করতে শুরু করেছে ত্রিপুরায়। দলটা আরও শক্তিশালী হোক।” তবে এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কংগ্রেস ত্যাগ করে অন্য দলে যোগদান করতে শুরু করেছেন। ফলে কংগ্রেসের ভীত রক্তক্ষরণ চলছে।
এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলছেন, কংগ্রেসের নাম করে যাদেরকে দলে নেওয়া হচ্ছে, তারা সবাই যে কোন দলের ক্ষেত্রে বোঝা। তারা সব সময় এই দল ওই দল করে বেড়ান। এদের সঙ্গে তেমন কারো সম্পর্ক নেই। কিন্তু ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবকে হারাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে অনেক পরিশ্রম করতে হতে পারে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হারে হারে সেই বিষয়টা টের পেয়েছেন। অন্যদিকে আবার ত্রিপুরায় বর্তমানে কংগ্রেস অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ক্রমাগত দলের বড় নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করা শুরু করেছেন। কংগ্রেসের ত্রিপুরার অত্যন্ত বড় নেতা সুদীপ রায় বর্মন সবেমাত্র কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল হয়ে তারপর এখন বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তার পাশাপাশি মানিক্য দেববর্মা কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার মাটিতে বিজেপিকে ঠেকানো কংগ্রেসের পক্ষে খুব একটা সহজ হবে না। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় নিজেদের একটু শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তোলার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে। বারংবার তৃণমূল নেতা নেত্রীরা ত্রিপুরা যাচ্ছেন। তাদেরকে রাজনৈতিক বাধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে কিন্তু তবুও তারা হার মেনে ফিরে আসছেন না। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা নেত্রীরাও বারংবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন। ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস কে একটি অন্যতম শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই কারণেই হয়তো ত্রিপুরায় আবারো মসনদে আসীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে রাজি হয়েছে কংগ্রেস।