খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণি (Porimoni) মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে বাংলাদেশের জেলে বন্দী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য করা হত। একের পর এক উচ্চবিত্ত ব্যক্তির নাম উঠে আসছে পরীমণির বয়ানে। বাংলাদেশের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও পরীমণিকে নিয়ে অবাধে কুৎসা রটছে। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন শাকিব খান (Shakib Khan)। 14 ই অগস্ট নিজের ফেসবুক পোস্টে শাকিব জানিয়েছেন, তিনি সম্পূর্ণ ঘটনার প্রতি নজর রেখেছেন। তিনি অপেক্ষা করছিলেন সঠিক সময়ের। শাকিব জানিয়েছেন, কয়েক দিন পরীমণি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকার পর 13 ই অগস্ট আদালতের নির্দেশে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শৈশবে পিতৃমাতৃহীন পরীমণির বেড়ে ওঠা, আর পাঁচ জন তরুণ-তরুণীর সাথে তাঁর লড়াইয়ের পার্থক্য রয়েছে। শাকিব মনে করেন, সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবেই পরীমণি সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। শাকিব জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতেও পরীমণির শতবর্ষীয় নানা 10 ই অগস্ট তাঁর নাতনীকে দেখতে আদালত চত্বরে ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু পরীমণির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি।
View this post on Instagram
পরীমণিকে নিয়ে কুৎসা প্রসঙ্গে শাকিব লিখেছেন, বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চান না। দেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা জানিয়ে শাকিব আশা করছেন নিরপেক্ষ বিচারের। তিনি পরীমণির অপরাধের বিশ্লেষণ করতে চান না। এমনকি পরীমণির ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অবস্থানে ক্ষুব্ধ শাকিব। তিনি বলেছেন, পরীমণির গ্রেফতারের পর শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন করছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। অথচ এই দুঃসময়ে তাঁদের পরীমণির পাশে থাকা উচিত ছিল। স্থগিত করা হয়েছে পরীমণির সদস্যপদ। শাকিব মনে করেন, পরীমণি বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার। পরীমণির প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আচরণ যথেষ্ট রহস্যময়। শাকিব লিখেছেন, বিগত দিনেও এর থেকে ভয়ঙ্কর অভিযোগে বহু শিল্পী গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের সদস্যপদ স্থগিত না করে বরং তাঁদের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিল চলচ্চিত্র সমিতি। কিন্তু বর্তমানের শিল্পী সমিতির আচরণ যথেষ্ট বিতর্কিত। যেসব শিল্পীরা খুব বেশি কাজ না করেও বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন, তাঁদের আয়ের উৎস খুঁজে বার করার পরামর্শ দিয়েছেন শাকিব।
শাকিব তাঁর সহকর্মী ও ফিল্মের নায়িকা পরীমণির জন্য সুবিচার চেয়ে লিখেছেন, এই ঘটনা থেকে ভবিষ্যতের শিক্ষা নেবেন পরীমণি। সেই শিক্ষাই তাঁকে আগামী জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।