প্রথা ভেঙে প্রথমবার, স্বাধীনতা দিবসে একটি বিশেষ কাজ করে ইতিহাস গড়লেন বিমান বসু

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   প্রথা ভেঙে এই প্রথমবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে উড়লো জাতীয় পতাকা। সিপিএমের রাজ্য সদর দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী ও মোহাম্মদ সেলিম সহ আরো অনেক নেতা। প্রথা ভেঙে এই প্রথমবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হল বামফ্রন্ট শিবিরে। কিন্তু কেন এই কর্মসূচি ?

যারা এতদিন ধরে ‘ইয়ে আজাদী ঝুঠি হ্যায়, ইস দেশ কি জনতা ভূখী হ্যায়’ স্লোগানে সকলকে একেবারে মাত করে দিতেন, তারাই হঠাৎ করে স্বাধীনতা উদযাপন করছেন? বিষয়টি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু হলেও যেহেতু এবারে স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তী বর্ষ এই কারণেই প্রথা ভাঙ্গার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি। সারাদেশের সমস্ত পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে সিপিএমের তরফ থেকে। এছাড়াও স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ বছরে নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন -  তৃণমূলের উপর হামলা নিয়ে ধিক্কার বামনেত্রী দীপশিতা ধরের, ত্রিপুরার ঘটনায়

বামফ্রন্ট জানিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সাম্প্রদায়িক বিপদ এবং দেশের স্বাধীনতায় কমিউনিস্টদের ভূমিকা সমস্ত কিছু নিয়ে চলবে এক বছরের দীর্ঘ কর্মসূচি। তিন দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের রাজ্য সিপিএমের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার বার্তা দিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজনের বার্তায় সায় দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে জানানো হয় এবারে প্রথা ভেঙে সিপিএমের প্রত্যেকটি পার্টি অফিসে উত্তোলিত হবে জাতীয় পতাকা। কিন্তু সুজন চক্রবর্তী, এরকম একটি বার্তা কেন দিলেন?

আরও পড়ুন -  অজন্তা প্রসঙ্গ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সূর্যকান্ত, কোনো ভাবেই সমর্থন করছে না সিপিআইএম

তার পাল্টা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, জাতীয়তাবাদ কিংবা দেশাত্মবোধ পুঁজি করে দেশের জনমানুষের উপর যেভাবে বিজেপি প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে তাকে কাউন্টার করার জন্যই সিপিএমের পক্ষ থেকে তাদেরকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানো হলো। আলিমুদ্দিন সহ দেশের প্রত্যেকটি পার্টি অফিসে উত্তোলিত হয়েছে জাতীয় পতাকা। এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা বিজয়ের জন্য বামপন্থীদের হাত ধরার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করা বামফ্রন্টের একটি বিশাল তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকেই। ভারতে বিজেপির বিজয় এর মূল ফান্ডাটাই হলো দেশাত্মবোধ এবং হিন্দুত্ববাদী চেতনা। এই কারণেই এই দেশাত্মবোধকে একেবারে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানোর উদ্দেশ্যেই এবারে আলিমুদ্দিনের পার্টি অফিসে উত্তোলিত হলো জাতীয় পতাকা।

আরও পড়ুন -  Kabul: ছাত্রীদের কাবুল ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা, উচ্চশিক্ষার জন্য