অস্ত্র আইনে গ্রেফতার দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিজেপি নেতার ছেলে, অভিযোগ আছে শ্লীলতাহানির

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   উত্তর কলকাতার মুচি পাড়ায় তৃণমূল নেতার স্ত্রীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে। তার সাথে সাথেই গ্রেফতার হন এলাকার দোর্দণ্ড প্রতাপ বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। গতকাল তার বাড়ির দরজা ভেঙে পুলিশ তার বাড়িতে ঢুকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এই ঘটনার জন্য। তবে শুধুমাত্র যে মহিলাদের উত্যক্ত করা তা কিন্তু না, পুলিশের তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মারধর এবং চুরির অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Chandan Mitra: প্রয়াত রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা সাংবাদিক চন্দন মিত্র, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন

সজল ঘোষ প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন, পুলিশের সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যা এবং এই ঘটনাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তৃণমূলের এফআইআর এর ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিজেপি নেতা কে। হামলার অভিযোগ রয়েছে মুচিপাড়া একটি প্লাইউডের দোকানে। প্রথমে একজন দোর্দণ্ডপ্রতাপ কংগ্রেস নেতা, তারপরে তৃণমূল এবং শেষে বিজেপি নেতা প্রদীপ ঘোষের বাড়িতে ঢুকে তার ছেলে সজল ঘোষ কে গ্রেফতার করে পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি নেতা, সরাসরি জানিয়ে দেন তিনি বাইরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু তারপরে দরজায় লাথি মেরে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করা হয় সজল ঘোষকে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুচি পাড়ায়।

আরও পড়ুন -  116 তম জন্মজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা ও রাইপুরে, পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর

তবে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এলাকার গতকালের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত সজল ঘোষ মুচিপাড়া থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে এসে তিনি নিজের বাড়িতে চলে যান। তারপর এই অদ্ভুত ঘটনা। রাজনৈতিক মহলের একাধিক প্রতিক্রিয়াঃ মিলেছে। এমনকি দিলীপ ঘোষ এই বিষয়টির কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “সজলদা কি মোস্ট ওয়ান্টেড নাকি। বিজেপি করলে এখান থেকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে পুলিশ গ্রেফতার করে। এখানে আবার গণতন্ত্র করতে দিল্লি যায়। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। কাশ্মীরের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের।”

আরও পড়ুন -  সকল মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা

তবে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কেউ মহিলাদের হাত ধরে টানলে কি পুলিশ দুধ খাওয়াবে!!” অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ” সজল এর মধ্যে না জড়ালেই পারতেন, তবে দরজা ভাঙার দৃশ্য অত্যন্ত অবাঞ্ছিত ছিল। “