খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ একদিকে বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী দুই হিসেবে বেশ খ্যাত। তবে এখন অভিনেত্রীর ঠিকানা হয়েছে কাশিমপুর সংশোধনাগার। হ্যাঁ ৪ই অগস্ট এই বিখ্যাত অভিনেত্রী পরীমণির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মদ উদ্ধার করেন বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। শুধু বিদেশি মদ নয় পাশাপাশি একাধিক মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে। এর পরেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় পরীমণিকে।
ইতিমধ্যেই এক সপ্তাহেরও বেশি হাজতবাস করার পর অভিনেত্রী পরীমণির জামিনের আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। শুক্রবার পরীমণিকে পেশ করা হয় আদালতে।তবে অভিনেত্রীর জামিনের বিরোধিতা করে সরকার, অভিনেত্রী আইনজীবীর সঙ্গে সরকারি পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমানচন্দ্র মণ্ডল পরীমণির জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করেন। কাশিমপুর সংশোধনাগারে এখন এই মামলা চলাকালীন বন্দি থাকবেন পরীমনি। শুধু তিনি নন, পাশাপাশি অভিনেত্রীর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপু, পরীমনির একটি সিনেমার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং তার ব্যবস্থাপক সবুজ আলীরও জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।
জানা গিয়েছে,পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক কান্ডের যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছে তা আদালতে প্রমাণিত হলে তাহলে অভিনেত্রীর সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। উল্লেখ্য, প্রথমে এই মাদক মামলায় পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও পাঁচ দিন তাঁকে হেফাজতে রাখার অনুমতি চেয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ। কিন্তু শুনানির পর মঙ্গলবার আদালত অভিনেত্রীকে দু’দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এরপর শুক্রবার বাংলাদেশের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই তারকাকে আবারও পেশ করা হয় আদালতে। অভিনেত্রী আদালতে বিচারকের সামনে চিৎকার করে ত বলেন, ‘‘তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তা ১০০ শতাংশ মিথ্যে।’’
শুক্রবার আদালতের বিচারের পর অভিনেত্রী যখন কোর্ট থেকে বেরিয়ে আসেন তখন তাঁকে কঠোর নিরাপত্তার বলয় দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল। আর সেই সময় অভিনেত্রীকে সাধারণ মানুষ থেকে সকল সাংবাদিক ঘিরে নেন। । তখনই সকলের উদ্দেশ্যে পরিমনী বলে ওঠেন, তাঁকে একটা মি একটা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কী করছেন সকলে? তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন।” অবশ্য পরীমণির সমর্থনে আগেই সরব হয়েছিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন