মানবাধিকার কমিশন কি আঙ্গুল চুষছে ? তোপ দাগলেন কুনাল ঘোষ

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   ত্রিপুরায় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত রায় ও জয়া দত্ত।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পাল্টাতে তোপ দাগতে শুরু করলেন কুনাল ঘোষ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তুলোধোনা করে এইদিন কুনাল ঘোষ লেখেন, “ত্রিপুরায় আমাদের সহকর্মীরা আক্রান্ত এবং রক্তাক্ত। গণতন্ত্র হত্যা করছে বিজেপি। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন কি আঙ্গুল চুষছে?”

ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে ত্রিপুরায় ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবারে ত্রিপুরায় সফরে যেতে চলেছেন কুনাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। তারা দুজনে সেখানে গিয়ে সমস্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরাতে গিয়েছিলেন কুনাল ঘোষ কারণ সম্প্রতি ত্রিপুরায় তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তারপরে আবারো কুনাল ঘোষ এবং তৃণমূলের একাধিক নেতাদের ছুটতে হচ্ছে ত্রিপুরায়।

আরও পড়ুন -  Video: ধানক্ষেতের মধ্যে আম্রপালিকে নিয়ে দুরন্ত রোম্যান্সে মাতামাতি নিরাহুয়া, শুরু করলেন দুষ্টুমি

আগামী রবিবার সে রাজ্যে যেতে চলেছেন কুনাল ঘোষ। যাবার আগে, তিনি আরো অভিযোগ করেছেন আগেরবার যখন তিনি নাকি ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন সেই সময় অনেকে নাকি তাকে ফলো করেছিল। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কুনাল ঘোষ একটি ভিডিও পোস্ট করেন কুনাল ঘোষ। তিনি ক্যাপশন লিখেছেন, “ত্রিপুরায় যতক্ষণ ছিলাম, যেখানেই যাই সেখানেই দেখতে পাচ্ছি একটু দুরত্ব রেখে একটা বাইক বাহিনী আমাদেরকে অনুসরণ করে চলেছে। প্রথমদিকে ব্যাপারটা খেয়াল না করলেও পরবর্তীকালে বুঝতে পারি সেটা আমাদের কে ফলো করছে। ওখানে গ্রামে তাণ্ডবের কথা আমি শুনেছি। পাশাপাশি শহরে নজরদারি চলছে। পিছনে থাকছে। কাউকে একটা ফোন করে জানাচ্ছে।” ওই ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যায় কুণাল ঘোষের গাড়ি ফলো করছে একটি বাইক বাহিনী। তারপর থেকেই আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরার রাজনীতি।

আরও পড়ুন -  অমিত শাহকে কি হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?

তবে এর আগেও যে ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের উপর আক্রমণ হয়নি এরকমটা নয়। বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এছাড়াও আইপ্যাকের একটি দল যখন ত্রিপুরায় গিয়েছিল সেই সময় করোনাভাইরাস বিধির কারণ দেখিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জায়গায় উপস্থিত হয়েছিলেন। তার কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

আরও পড়ুন -  Dev-Sweta: দেবের বিপরীতে এবার ‘যমুনা ঢাকি’ ওরফে শ্বেতা