হেস্টিংস এর দপ্তর থেকে, সমস্ত কার্যালয় ফিরিয়ে আনা হবে মুরলীধর সেন লেনের পুরনো অফিসে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভের আশায় কলকাতার হেস্টিংস একটি বড় আকারের দলীয় কার্যালয় গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু বিধানসভা ভোটের ভরাডুবির পরে এবারে ধীরে ধীরে খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পার্টিতে খরচ কমানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। বিধানসভা ভোটে এতটা পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে গেছে, যে এখন যদি খরচ না কমানো হয় তাহলে পার্টির অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে। তাই মূলত অর্থ সংকটের কারণেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে খরচ কমানোর কাজ চলছে।

সর্বভারতীয় সংগঠন এর তরফ থেকে কিছু টাকা সাহায্য পাওয়া গেছে কিন্তু দিলীপ ঘোষ জানাচ্ছেন অর্থ সংগ্রহের কাজটা কিন্তু সব সময় রাজ্যস্তরে করতে হয়। এখন এই টাকা সংগ্রহের বিষয়টি অত্যন্ত অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। তারপরে আবার বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের ফলে তেমন কিছু আর হাতে নেই ভারতীয় জনতা পার্টির। তারকা প্রার্থীদের প্রচার এর জন্য অনেক টাকা খরচ করেছে বিজেপি। এর জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিকে কৈফিয়ত দিতে হয়েছে রাজ্য কমিটিকে। তাই দিলীপ ঘোষ আপাতত জানাচ্ছেন, হেস্টিংস থেকে কিছু কিছু দপ্তর আস্তে আস্তে আবারো মুরলিধর সেন লেনের পুরনো অফিসে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর আপাতত হেস্টিংসের ওই বাড়িতে দুটো তলা নিয়ে দপ্তর চালানো হবে। পাশাপাশি বর্তমানে অর্থ সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে বিজেপি।

আরও পড়ুন -  OTT-তে সাহসী কনটেন্টের নতুন সংযোজন, আয়েশা কাপুরের ‘সিয়াপা’ নিয়ে চর্চার ঝড়, একা দেখবেন

আপনাদের জানিয়ে রাখি,  বিজেপি মূলত অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। এই তিনটি পদ্ধতি হলো প্রথমে চাঁদা তোলার রশিদ, বই ও কুপনের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে এবং শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করা। তবে এখানে একটা ব্যাপার রয়েছে। কিছু কিছু সময়ে রাজ্য বিজেপি চেকের মাধ্যমে টাকা তোলে। বিজেপিকে টাকা দিলে আয় করে অনেকটা ছাড় পাওয়া যায়। এই কারণে অনেকে বড় অঙ্কের চাঁদা দিয়ে থাকেন ভারতীয় জনতা পার্টি কে।

আরও পড়ুন -  Dilip Ghosh: ‘নির্বাচন কমিশনটা তো রাজ্য সরকারই চালায়’, পুরোভোট প্রসঙ্গে তোপ দিলীপ ঘোষের

দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো ১১ ফেব্রুয়ারি দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মৃত্যুদিনে সমর্পন দিবস হিসেবে পালন করা। ঐদিন বিজেপির বড় নেতা কর্মীরা তহবিলে টাকা দিয়ে থাকেন। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের কারণে এই দিন্দয়াল উপাধ্যায় মৃত্যুদিনে সমর্পণ দিবস পালন করা সম্ভব হয়নি বিজেপির পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন -  “আপনি বিজেপি'র ঘনিষ্ঠ, অভিযোগ শুনে মুচকি হাসলেন বিচারপতি

তৃতীয়তঃ হল, দলের সাংসদ এবং বিধায়কের বেতন এর থেকে একটি বড় অংশ গ্রহণ করে ভারতীয় জনতা পার্টি। মূলত, রাজ্যের সাংসদদের বেতন এর থেকে নেওয়া অংশঃ সরাসরি চলে যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় তহবিলে এবং রাজ্যের বিধায়কের তহবিল থেকে নেওয়া অর্থ চলে আসে রাজ্যের তহবিলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনটি পদ্ধতির মধ্যে একটিও তেমন ভাবে কাজ করতে শুরু করেনি। তাই আপাতত হেস্টিংস থেকে পুরনো অফিসেই সমস্ত দপ্তর ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি।