খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ব্যাপারে বেশ কিছু দাবি পেশ করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে দিল্লি সফরের চতুর্থ দিনে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়করি সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করে তিনি সরাসরি রাজ্যের সড়ক বিষয় নিয়ে একাধিক দাবি দাওয়া পেশ করলেন। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনের অনেক আধিকারিকরা এখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নীতিন গড়কড়ির কাছে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, উত্তর – পূর্ব ভারতের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রতি আরও জোর দেওয়া হয়। এই রাজ্যে আরো বেশি রাস্তা তৈরি করার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী।
দীঘা রাস্তা সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুন্দরবনে আরো বেশি রাস্তা তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানাচ্ছেন সুন্দরবনের বহু রাস্তা বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে ও গঙ্গাসাগরের ব্রিজ বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গঙ্গাসাগরের জন্য একটি ব্রিজ তৈরি করা ও সুন্দরবনে আরো বেশি রাস্তা তৈরি করা প্রয়োজন।
বারাসাত ও বনগাঁর মধ্যে রাস্তা তৈরি করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বনগাঁ পেট্রাপোল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করার আবেদন জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের একাধিক জাতীয় সড়কের বেহাল দশা রয়েছে। তাই সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
শিলিগুড়ির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সেবক রোডে বারবার ধ্বস নেমেছে তাই এই এলাকায় তাড়াতাড়ি রাস্তা তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন।
জনসাধারণের সুবিধার জন্য একাধিক রাস্তা সম্প্রসারণ করার দাবি জানিয়েছেন।
রাজ্যে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প – কারখানা করার দাবি জানিয়েছেন মমতা।
এছাড়াও কলকাতায় বেশকিছু উড়ালপুল তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মেট্রোর কাজ শেষ হতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। তাই এক্ষুনি যদি কলকাতায় আরো বেশি সংখ্যক উড়ালপুল তৈরি করা যায় তাহলে সুবিধা হবে সাধারণ মানুষের।
যদিও বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ির সঙ্গে তার বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক এবং রাজ্যের সমস্যা খতিয়ে দেখার ব্যাপারে নীতিন গড়করি আশ্বাস দিয়েছেন। মমতা জানাচ্ছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসবে আর কিছুদিনের মধ্যেই। তারা সমস্ত কিছু বিষয় ভালোভাবে দেখে যাবার পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কাজ করা হবে।