খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ শ্রাবণ মাস হল দেবাদিদেব মহাদেবের মাস। এই মাসে দেবাদিদেব মহাদেব মর্তে আগমন করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ আছেন তারা গোটা মাস যদি নিয়ম করে মহাদেব দেবাদিদেবের পুজো করেন। তাহলে তাদের সারা জীবন খুব সুখে শান্তিতে কাটবে। অর্থনৈতিক সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে নিমেষের মধ্যে। নিয়ম মেনে পালন করতে হবে। না হলে হতে পারে ঘোরতর বিপদ।
যদি নিয়ম মেনে শ্রাবণ মাসে দেবাদিদেবের পুজো করতে পারেন তাহলে আপনার জীবনে, আপনি এক অপার আনন্দ খুঁজে পাবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাকরি-বাকরির খুব অভাব। সহজেই মানুষের চাকরি চলে যাচ্ছে, অর্থাভাবে কষ্ট পাচ্ছে, অনেকেই প্রমোশন হচ্ছে না, শ্রাবণ মাসের প্রতি মঙ্গলবার বজরংবলীর পুজো করা যায় তাহলে দেবাদিদেব মহাদেবের সাথে সাথে হনুমানজি সন্তুষ্ট হন। আর দুই দেবতার আশীর্বাদ যদি একবার আপনার জীবনে পড়তে পারে তাহলে তো কথাই নেই। শ্রাবণ মাসের প্রতিটি দিন ভীষণ শুভ হিসাবে বিবেচিত হয়। এমনিতেও মঙ্গলবার দিন যারা বজরংবালী পূজো নিয়মিত করেন, তাদের জীবনে হনুমানজির কৃপাদৃষ্টি থাকে। আর হনুমানজির কৃপায় তাদের জীবন ভালই কাটতে থাকে। শ্রাবণ মাসের প্রতিটি মঙ্গলবার একটু বেশি স্পেশাল। এই শ্রাবণ মাসের প্রতিটি মঙ্গলবার যদি হনুমানজীর পুজো এবং নিয়ম করে হনুমান চল্লিশা পড়তে পারেন, তাহলে আপনার জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর হয়ে যাবে নিমেষে।
মঙ্গলবার দিন যদি তুলসীপাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে না ছিঁড়ে আপনার মানিব্যাগে মধ্যে রাখতে পারেন তাহলে অর্থনৈতিক কষ্ট চিরতরে দূর হয়ে যাবে। তবে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে, এই তুলসী পাতা যেন একেবারে পরিষ্কার থাকে, কোনরকম হলুদ বা কালো দাগ বা ছেঁড়া বা নোংরা লাগা তুলসীপাতা কখনোই না হয় না হলে কিন্তু আপনার জীবনে ঘোরতর বিপদ আসতে চলেছে।
এই ভাবে শ্রাবণ মাসের প্রতিটি মঙ্গলবার নিয়ম করে দেবাদিদেব মহাদেব ও বজরংবালিকে একসঙ্গে স্মরণ করে যদি পুজো করতে পারেন তাহলে আপনার থেকে সুখী আর কেউ হতে পারবেনা। তবে একটা কথা না বললেই নয়, এই সমস্ত টোটকায় অবশ্যই কাজ হবে কিন্তু শুধু টোটকা করবেন আর কোনরকম পরিশ্রম না করে বাড়িতে বসে থাকবেন তাহলে কিন্তু টোটকায় কোন কাজ হবেনা। পরিশ্রম করতে হবে।