খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ ওজন কমানোর জন্য খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন করে থাকি। ফরে শরীরে কার্বোহাইড্রেট ও অন্যান্য পুষ্টিগুণের অভাব দেখা দেয়। সেই সময় আমরা যদি অতিরিক্ত লেবুর রস পান করে থাকি তাহলে শরীরে দূর্বলভাব দেখা দিতে পারে।
লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিডের কারণে দীর্ঘদিন ধরে লেবু খাওয়ার ফলে মুখের মধ্যে থাকা নরম কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
খালি পেটে লেবু খেলে আমাদের পাকস্থলীতে খাদ্য পরিপাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। ফলে আমরা যে খাবারটি খেয়ে থাকি তা ঠিক মত হজম হয় না।
আমরা যারা ক্যালসিয়াম জাতীয় ঔষুধ খেয়ে থাকি তাদের লেবু না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও আমরা যারা প্রতিদিন কোনো না কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঔষুধ খেয়ে থাকি তাদের লেবু বা সাইট্রিক জাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো।
লেবুর রস জ্বর এবং ফ্লু থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের ডায়েটে লেবু থাকলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা, কিডনির সমস্যা দূর হবে। ত্বকও সুন্দর হবে।
লেবু ভালো, তবে লেবুর সঙ্গে কয়েকটি খাবার খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক। আয়ুর্বেদের মতে, প্রতিটি খাবারের নিজস্ব স্বাদ থাকে যা হজমে ভাল বা খারাপ প্রভাব ফেলে। যে কারণে খাদ্য সংমিশ্রণেরও খুব গুরুত্ব রয়েছে। যখন দুটি ভিন্ন খাবার একসঙ্গে মিশে যায়, এনজাইমগুলো সিস্টেমকে ব্যহত করতে পারে। বিষাক্ত উপাদানগুলো আপনার দেহে অতিরিক্ত পরিমাণে বাড়তে পারে।
লেবুর সঙ্গে পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। এটি আপনার হিমোগ্লোবিন ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে। এর পাশাপাশি অ্যানিমিয়ার শিকারও হতে পারেন।লেবু আর পেঁপে শিশুদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক।আয়ুর্বেদের মতে দই লেবু খাওয়া উচিত নয়। সাইট্রাস ফলের সঙ্গে দুগ্ধজাত মিশ্রণ হজম সিস্টেমে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটির সঙ্গে আরও বেশি টক্সিন উত্পাদিত হবে। সর্দি-ঠান্ডা, সাইনাস বা অ্যালার্জির মুখোমুখি হতেও পারে। লেবু সাধারণত সালাদে বেশি ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদিকের মতে টমেটোতে লেবু ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি শরীরের পাচনতন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।টক জাতীয় জিনিস দুধের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এর কারণে আপনাকে বদহজমের মতো সমস্যায় পড়তে পারে।