খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ নতুন দিল্লি যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগেই তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে চলেছেন দিল্লি। প্রথমে দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব ভেবেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি আসার কারণ শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এমনিতেই তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় উঠে আসতে চাইছে। তারই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর দিল্লি যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
২৫ তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ২১ এর শহীদ দিবস এর সমস্ত কর্মসূচি সেরে নিয়ে তারপরে ২২ জুলাই নাগাদ দিল্লি পৌঁছে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। ওই বৈঠকের পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে জোট তৈরীর পরিকল্পনা। এমনিতেই বিজেপি কে হারাতে বর্তমানে কংগ্রেস খুব একটা বড় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারবে না। যদি জোট হয়, তাহলে কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে জয় লাভের একটা সম্ভাবনা আছে। এই কারণেই হয়তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাচ্ছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আগামী নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন। সকলেই বুঝে গিয়েছেন খুব শীঘ্রই আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রচার পর্ব শুরু করে দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবছর শহীদ দিবসের কাজকর্ম সেরে দিল্লি রওনা হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো তিনি বিভিন্ন ঘুঁটি সাজাতে শুরু করবেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। কিরকম ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাজকর্ম সামলাতে পারেন, সেটাই হয়তো পরখ করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং এবারে মমতা এবং অভিষেকের নয়াদিল্লি যাত্রা যে শুধুমাত্র সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য নয় সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন। এই বিপুল জয়লাভে যেমন তাকে সেনাপতির মতো সাহায্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তেমনি পিছন থেকে পুরো কলকাঠি নেড়েছেন নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। প্রশান্ত কিশোর ঘোষিত ভাবে তৃণমূলের নেতা না হলেও তিনি যে এখনো পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে রয়েছেন সেটা মোটামুটি বোঝা যায়।
লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পেট্রোল ডিজেল এবং করোনাভাইরাস নিয়ে সরব হবে। অন্যদিকে এবারেও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে গুটি সাজাবেন প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিজেপি বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করে ফিরেছেন প্রশান্ত কিশোর। দিল্লি সফরে হয়তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বেশ কয়েকজন বিজেপি বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই অস্ত্র সাজানো শুরু করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।