মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়, চেন্নাইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ   চেন্নাইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় কৃষ্ণা দেবীর। করোনা পরবর্তী সময়তে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ভুগছিলেন। আগে থেকেই এই সমস্যা নিয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন। তাকে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য জানানো হযেছিল। এমনকি কিছুদিন আগে তাকে ফুসফুস প্রতিস্থাপন করার জন্য নিয়েও যাওয়া হয় চেন্নাইয়ে।

তার ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য ব্রেন ডেথ হওয়া ব্যক্তির খোজ শুরু হয়। কিন্তু এই লড়াই আর কাজে লাগলোনা। আজকে ভোর ৪টে ৩০ মিনিটে চলে গেলেন মুকুল পত্নী কৃষ্ণা রায়। মাস দুয়েক আগে সস্ত্রীক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন মুকুল রায়। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপরে মুকুল রায় সুস্থ হয়ে গেলেও তার স্ত্রী সুস্থ হননি তেমনভাবে। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে তার বেশ কিছু সমস্যা শুরু হয়েছিল।কৃষ্ণা দেবী কখনোই ধর্মীয় মেরুকরণ এ বিশ্বাসী ছিলেন না। তাই মূলত তার মায়ের জন্য আবারো তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরতে পেরেছেন শুভ্রাংশু রায়। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও কিছুটা নিজের স্ত্রীর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরেছেন মুকুল রায় নিজেও। মায়ের জীবনের মূল আদর্শকে পাথেয় করে বাকি সময়টা চলতে চেয়েছেন শুভ্রাংশু রায়। কৃষ্ণা দেবী কে নিজের মায়ের মতো শ্রদ্ধা করতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। অসুস্থ থাকাকালীন তার খোঁজ নিতে ছুটে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। কৃষ্ণ দেবীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া তৃণমূল কংগ্রেসে।

আরও পড়ুন -  Mamata Banerjee: বাংলা সর্বদা অপপ্রচার ও ঘৃণার রাজনীতির পরিবর্তে উন্নয়ন ও ঐক্যকে বেছে নেবে

ফুসফুসের রোগ ধরা পড়েছিল এবং ফুসফুসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে দিয়েছিল। তারপর চিকিৎসকরা তাকে একমো সাপোর্টে রাখতে পরামর্শ দেন। মুকুল রায়ের স্ত্রীর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের কথা জানান ডাক্তাররা। তাকে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রেন ডেথ হওয়া ব্যক্তির খোঁজ চলছিল কিন্তু তার আগেই, চলে গেলেন কৃষ্ণা দেবী। কিন্তু যাবার আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য একটি বড় কাজ করে দিয়ে গেলেন তিনি।

আরও পড়ুন -  মমতার ঘনিষ্ঠ ৬ আত্মীয়র বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা