বিজেপির দুর্নীতির প্রতিবাদ করে স্বারকলিপি জমা দিলেন, কুলটি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস

Published By: Khabar India Online | Published On:

টুঙ্কা সাহা, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, আসানসোলঃ   আসানসোলের কুলটি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপি সংঘটিত অবৈতনিক দুর্নীতির প্রতীবাদে কুলটি থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি করলেন। মোট ১৪দফা দাবিকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি। উপস্থিত কুলটির ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস মুখার্জী ও কুলটি বিধান সভার প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চ্যাটার্জী। তিনি বলেন, আমরা বিক্ষোভ করতে আসিনি প্ৰশাসন কে সহযোগিতা করার জন্য এসেছি, কারণ বিজেপির নেতৃর্ত্ব পুলিশ প্ৰশাসনকে চাপ সৃষ্টি করে এলাকায় কয়লা এবং বালি বেআইনি ভাবে চালানোর চেষ্টা করছে, তাই আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছেন যে, বেআইনি ভাবে কয়লা এবং বালি চালানো যাবেনা। তাই দলের নির্দেশ মতো আমরা প্রতিবাদ জানাতে এসেছি যেন কোনো ভাবে এলাকায় বেআইনি কয়লা বা বালি না চালাতে পারে। একই সাথে প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চ্যাটার্জী বলেন, শুধু বিজেপি নয়, তাতে যদি আমাদের দলের কেউ যুক্ত থাকে তাহলেও পুলিশ প্ৰশাসন যেন কোন কথা না শুনে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন -  সেলাই মেশিন বিনামূল্যে সরকার দিচ্ছে, প্ল্যানের ব্যাপারে জানুন

এলাকায় বেআইনি কাজ করা যাবে না। এই বিষয়ে কুলটির ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বলেন, আমরা আজ কুলটি থানাতে তৃমূলের সর্বস্তরের থেকে ছাত্র যুব আমরা সবাই মিলে কুলটি থানার আধিকারিক কে স্বারকলিপি জমা দিলাম। কুলটি বিধানসভা অঞ্চলে যে ভাবে বিজেপি বিভিন্ন দুর্নীতি করে সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছে এবং সাথে সাথে কুলটি এলাকার দুই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের দাবি সহ বেআইনি কয়লা এবং বালি বন্ধ করার সহ মোট ১৪দফা দাবি নিয়ে স্বারকলিপি তুলে দেন কুলটি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের হাতে। ওপর দিকে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব কেশব পোদ্দার বলেন যে, কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চ্যাটার্জী যে ভাবে প্রচুর ভিড় জনসমাগমের মাধ্যমে এখন স্বারকলিপি দিলেন থানাতে, করোনার সময় সাথে লকডাউন তারপর এই লোকজমায়েত করে ডেপুটেশন সামাজিক দূরত্ব বিধি উরিয়ে, এটা বিজেপি করলে প্ৰশাসন বলবে লোকডাউন চলছে। আর এখন তৃণমূলের জন্য কী লকডাউন নেই ? আর প্রাক্তন বিধায়ক যে বিজেপির নামে কয়লা এবং বালি নিয়ে অভিযোগ তুলছেন, আমি এই কথা বলবো যে, যখন তিনি বিধায়ক ছিলেন, তখন তার আমলে রমরমা করে কয়লা ও বালি বেআইনি ভাবে চলেছে, সেই সময় কোনো ডেপুটিশন দেননি, তখন তো আপনি বিধায়ক ছিলেন, তখন জনতার সমর্থন ছিল, আর এখন কুলটির বিজেপির বিধায়ক জেতার পর এই রকম অভিযোগ করছে, সেটা এই নিয়ে কুলটির সাধারণ মানুষ হাসবে, কারণ সাধারণ মানুষ জানে যে, কয়লা কাণ্ডে একের পর এক সিবিআই বা এনআইএর তদন্তে তৃণমূল নেতারা ফাসছে সাধারন মানুষ জানে এই বিষয়।

আরও পড়ুন -  Berlin: বার্লিনে বিক্ষোভ, ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা