খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ অভাবের তাড়নায় ছাড়তে হয়েছে পরিবার। উত্তর কলকাতার রাস্তায় ভায়োলিন বাজিয়ে সকলের মন জয় করছেন। মন জয় করলেই তো আর পেট ভরে না। চাই অর্থ। আর্তি জানিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। এই বৃদ্ধ ভদ্রলোক অসাধারণ বাজান, যে কোনো প্রফেশনাল শিল্পী কে হার মানিয়ে দিতে পারেন। শুনলে মন ছুয়ে যাবে। পরনের ময়লা পোশাক, এলোমেলো চুল, পাকা দাড়ি ভর্তি মুখ, দুই চোখে এক স্বপ্ন নিয়ে তিনি ফুটপাতে বসে ভায়োলিন বাজাচ্ছেন। কোন সহৃদয় গুণী মানুষ একবার তার গান শুনে তাকে একটা সুযোগ দেন।
ভদ্রলোকের নাম ভগবান মালী। পৈত্রিক বাড়ী মালদহে। সেইখানেই পরিবারের আর বাকিজনেরা থাকে। সেখানে থেকে সংসার চলছে না। লকডাউনে দু’বছর ধরে উপার্জন একেবারে বন্ধ। আপাতত অস্থায়ী বসবাস গিরিশ পার্কে ব্রিজের নিচে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার জন্য আর্তি জানানো হয়েছে। তার কাজের দরকার অর্থের প্রয়োজন। করোনাভাইরাস বহু মানুষের জীবন-জীবিকাকে কেড়ে নিয়েছে। বর্তমানে নতুন প্রজন্মের হাতে যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে, তাই একটা মানুষের কাজের জোগাড় হওয়া এমন কিছু ব্যাপার নয়। তিনি সমস্ত রকম অনুষ্ঠানের ভায়োলিন বাজাতে অভ্যস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যদি তার একটা কাজ হয় যদি তার পরিবার দুবেলা-দুমুঠো খেতে পায় তাহলে ক্ষতি কি ? আমাদের আগের প্রজন্মের মানুষরা এই মোবাইল ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়া শুনলেই রীতিমতন বাঁকা চোখে দেখেন। তাদের একাংশের ধারণা আজকালকার প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের উচ্ছন্নে যাওয়া পেছনে সোশ্যাল মিডিয়া। একটা বড়সড় হাত আছে। এই কথা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই মাধ্যমে মানুষটা যদি তার রুটি-রোজগার খুঁজে পায়, তাহলে আপনিও কি সোশ্যাল মিডিয়াকে দোষ দেবেন?
ঠিকানা – হরিয়ানা ভবন ( SBI এটিএম এর কাছে) গিরিশ পার্কের ব্রিজের কাছে। উত্তর কলকাতা।