খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ স্কিল ইন্ডিয়া মিশনের মাধ্যমে স্থানীয়স্তরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজপাওয়ার সুযোগ বেড়েছেঃ প্রধানমন্ত্রী
দক্ষ কর্মীদের বিষয়ে তথ্য সম্বলিত নতুন পোর্টালের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান এর ফলে ঘরে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিক সহ সব কর্মীদের কাজের সন্ধান পেতে সুবিধে হবে
দক্ষতার সুযোগকে ব্যবহার করে দেশের সম্ভাবনা ও বিশ্বের চাহিদা মেটানোর কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন
বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস এবং স্কিল ইন্ডিয়া মিশনের পঞ্চম বার্ষিকীতে আয়োজিত ভার্চুয়াল কনক্লেভে আজ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রেখেছেন। বর্তমান পরিবর্তনশীল পরিবেশে বাজারের চাহিদা মেটাতে যুব সমাজকে দক্ষ করে তুলতে এবং অর্জিত দক্ষতার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্রে দক্ষতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর তিনি গুরুত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ বছর আগে, আজকের এই দিনেই স্কিল ইন্ডিয়া মিশনের সূচনা করা হয়েছিল। স্থানীয় স্তরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে তোলা, নতুন নতুন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন ও দক্ষতা বিকাশের উদ্দেশে একটি বিরাট পরিকাঠামো গড়ে তোলাই এর উদ্দেশ্য। এরফলে দেশজুড়ে প্রচুর পিএম কৌশলকেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং আইটিআই-গুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সমন্বিত এই প্রয়াসে বিগত ৫ বছরে ৫ কোটির বেশি যুবক-যুবতী বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছেন। দক্ষ কর্মীদের বিষয়ে তথ্য সম্বলিত নতুন পোর্টালের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান এই পোর্টালের মাধ্যমে ঘরে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিক সহ সব কর্মীদের কাজের সন্ধান পেতে সুবিধা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা মাউসের একটি ক্লিকে দক্ষ কর্মীদের খুঁজে পাবেন। স্থানীয় স্তরে অর্থনীতির পরিবর্তনের জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের দক্ষতাকে কাজে লাগানোর ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী দক্ষতাকে একটি ক্ষমতা বলে বর্ণনা করেন যা আমরা নিজেরাই অর্জন করি। সময়ের গন্ডী পেরিয়ে অনন্য এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে একজন খালি দক্ষ কর্মীই হয়ে উঠতেই পারেন না, তিনি জীবনে সন্তুষ্টির পথও খুঁজে পান। তিনি বলেন, নতুন কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে আকৃষ্ট হওয়ায় যে কারুর জীবনে নতুন আশা এবং উৎসাহ সঞ্চার করে। দক্ষতার মাধ্যমে যেমন জীবিকা নির্বাহ করা যায়, আবার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দক্ষতা উৎসাহ উদ্দীপনারও কারণ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে ‘জ্ঞান’ ও ‘দক্ষতা’র মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে সেটি উল্লেখ করেন। তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একটি উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, কি করে সাইকেল চালাতে হয় সেটি হল জ্ঞান আর কি করে সাইকেলের উপর বসতে হয় সেটি হল দক্ষতা। বিভিন্ন প্রসঙ্গ ও প্রভাবের মধ্য দিয়ে যুব সম্প্রদায়কে এই দুটির মধ্যে তফাৎ উপলব্ধি করতে হবে। শ্রী মোদী কাঠের কাজের কথা উল্লেখ করে কোন বিষয়ে দক্ষতা, নতুন বিষয়ে দক্ষতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেন।
দেশে দক্ষতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কি করে আরো সম্ভাবনা তৈরি করা যায় প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের কথা তুলে ধরেন। ভারতীয় দক্ষ কর্মীরা আজ সারা বিশ্বের চাহিদা মেটাচ্ছেন। এই চাহিদাটিকে তিনি চিহ্নিত করার উপর গুরুত্ব দেন এবং বলেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের মানকে আরো উন্নত করতে হবে। একই ভাবে তিনি যুবসম্প্রদায়কে পরামর্শ দেন নৌযাত্রায় ভারতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে। বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক জাহাজের নাবিক ও নৌকর্মীর চাহিদা, ভারতীয় যুব সম্প্রদায় মেটাতে পারে।
প্রতি বছর বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস ১৫ই জুলাই উদযাপিত হয়। এ বছর অন লাইনে ভারচ্যুয়াল পদ্ধতিতে দিনটি পালিত হল। এই কনক্লেভে দক্ষতা বিকাশ ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী ডঃ মহেন্দ্র নাথ পান্ডে, দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী আর কে সিং লার্সেন ও টুব্রো লিমিটেডের গ্রুপ চেয়ারম্যান শ্রী এ এম মালিক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে এই ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলে এবং লক্ষ লক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা যোগ দেন। সূত্র – পিআইবি।