খুঁজে পাওয়া
অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য
“আর দশদিন পর চন্দ্রগ্রহন। আকাশে নাকি লাল চাঁদ দেখা যাবে দাদুভাই।
শতাব্দীর সেরা বিস্ময়। এক ঘন্টা তেতাল্লিশ মিনিট ধরে দেখা যাবে সেই
গ্রহন ।” বিমলবাবু উত্তরের অপেক্ষায়। কিন্তু উত্তর আসেনা। দশ বছরের
নাতি বিঙ্কা মোবাইল ফোনে ব্যস্ত।
বিমল বাবু রেগে বললেন – এই তোর মায়ের মোবাইল নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিস কেন ?
কত দরকারি নম্বর আছে। সব উড়িয়ে দিবি নাকি ?
বিঙ্কা খুব বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলো – মা ই তো বলল মোবাইল নিয়ে খেলা
করতে । ততক্ষনে মা রান্নাঘরে বিনামাসির সঙ্গে রান্না সেরে ফেলবে। এই
দেখো দাদু এটা আফ্রিকার বুনো হাতি। কানগুলো দেখেছ কি বড় !
বিমলবাবু মনে মনে হাসলেন – আগে পৃথিবীর সব অজানা জিনিস, ছবি দেখার জন্য
তারা গ্রামের লাইব্রেরীতে ভিড় করত। সুজিত মাস্টার এলে তারা ঘিরে ধরত।
সুজিত মাষ্টারের ছিল দেশ ঘোরার শখ। কত যে অজানা জন্তু, পাখির ছবি
দেখাতেন, তাদের কথা বলতেন। এই ঘোরার নেশায় সারাজীবন সংসার করেন নি।
একদিন হুট করে কেমন নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন। পাহাড়ে ট্রেকিং করতে গিয়ে আর
ফিরলেন না ।তখন বিমল্ বাবু ইলেভেনে পড়েন । খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ।
সুজিত মাস্টারের অদ্ভুত একটা ক্ষমতা ছিল । শ্রোতাকে ধরে রাখার । এত
সুন্দর সব অভিযানের গল্প বলতেন কেউ নড়তে পারত না ।সেই টান এই মোবাইলের
নেট দুনিয়াতে খুঁজে পাওয়া যায় না ।তবু কি ভীষণ নেশা ।সবাই তো ঘণ্টার পর
ঘণ্টা কেমন বুঁদ হয়ে থাকে ।ছোট থেকে বড় সবাই ।
বউমার বুঝি হাতের কাজ খালি হয়েছে । বিঙ্কার তাই ডাক পড়েছে । বিমলবাবু
চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকেন । তার ছোটবেলার লাল রঙের লাবেঞ্জুসের কথা মনে
পরে ।
আজ রাতে ঘুম আসছে না । মাঝে মাঝে এমন হয় । পুরনো কথা ভিড় করে আসে ।
স্ত্রী গত হয়েছেন পাঁচ বছর । তার অভাব বোধ করেন প্রতিমুহূর্তে । ছেলে
বৌমা অযত্নে রাখেনি । কিন্তু তবু একাকীত্ব ঘিরে ধরে । মাসে একবার অফিসের
অবসর প্রাপ্ত বন্ধুদের সঙ্গে সমবেত হন । ধর্মতলায় এক চায়ের ঠেকে সম্মেলনি
বসে । একেকদিন সেখান থেকে গঙ্গার ঘাটেও চলে যান ।সুখের দুখের কথা বলেন ।
বন্ধুদের মধ্যে সৈকত সব থেকে উদ্দামি । বয়েসে বিমলবাবুর থেকে হয়ত বছর দুই
বড় হবে । কিন্তু চাকরীতে বিমলবাবুর পরে যোগ দিয়েছিল । কালকে সেই সৈকতের
জন্মদিন ।বন্ধুরা ঠিক করেছে সৈকতের বাড়ি গিয়ে সারপ্রাইজ দেবে । দুদিন ধরে
সৈকত আসেওনি আড্ডা দিতে । তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না । তার তিনকালে তো
কেউ নেই । বিয়ে থা করেনি । হঠাৎ কি এমন কাজে ব্যস্ত হয়ে গেল বুঝতে পারে
না কেউ ।
পরের দিন একটা কেক নিয়ে সবাই সৈকতের বাড়ির দরজায় এসে হাজির । হাঁকডাকেও
যখন দরজা খুলল না । সবাই একটু অবাক এবং ভয় পেয়েছে ।আশেপাশের থেকে লোক জড়
হয়েছে । শেষ কালে পুলিশে খবর দিতে হল ।
পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সৈকতের বডি বের করে নিয়ে গেল । মৃত্যুর কারন জানা
গেল ময়না তদন্তের পর । ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে সৈকত ।
প্রথমটায় বিমলবাবু এবং তার বন্ধুরা সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিল । সৈকতের মত
এত প্রানবন্ত একজন মানুষ এরকম করতে পারে ! আড্ডাটা কেমন নিস্তেজ হয়ে গেল
। সবার মনেই বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরতে লাগলো । সৈকত কি একাকীত্বতে ভুগছিল
?তাদের একবার বলতে পারল না !
কদিন ধরে বিমলবাবুর মন খুব খারাপ । কারোর সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে না ।
দেখা করতে ইচ্ছে করে না । খালি সৈকতের মুখটা মনে পড়ছে । মনের সঙ্গে
শরীরটাও খারাপ করছে । আজকাল পুরনো কথা বেশি মনে পরে । ছেলে বৌমা
বিমলবাবুকে গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে বললেন ।
সত্যি অনেককাল গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না । সেখানে তার জেঠতুত, খুড়তুতো
দাদারা থাকেন । তারা প্রায় যেতে বলে । কিন্তু সময় করে যাওয়া হয় না
।বিমলবাবু গ্রামে আসছেন শুনে তারা বেজায় খুশি ।কলকাতা থেকে বীরভূম
কতটুকু আর রাস্তা । তিন চার ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় । কিন্তু মনের দূরত্ব
হয়ত অনেকটা বেড়েছে ।
শেষ পর্যন্ত ঠিক হল ছেলে বৌমা , নাতি সকলেই যাবে ।দুদিনের ছুটি কাটিয়ে
আসবে । বিমলবাবু কদিন থাকবেন । প্রায় দশবছর হল গ্রামে যাওয়া হয় না ।
গ্রাম এখন আর আগের মতো নেইও । বলা চলে সেমি টাউন হয়ে গেছে । সেখানের
ছেলেপিলেদের হাতেও মোবাইল , ল্যাপটপ অত্যাধুনিক গেজেট উঠে এসেছে । কিন্তু
তবু একটা টান তো আছেই । যা এই শহরের মাঝেও খুঁজে বেড়ান ।
বাইপাস দিয়ে হুস হুস করে গাড়ি ছুটছে । মানস গাড়ি চালাতে এক্সপার্ট । বিমল
বাবু তবু বললেন সাবধানে চালাস । অত তাড়া নেই । তোর মা থাকলে এখুনি বকা
দিতো । সঙ্গে সঙ্গে বিঙ্কা প্রশ্ন করে থাম্মা কি খুব ভীতু ছিল ? আসলে
বিঙ্কার সঙ্গে ছায়া দেবীর দেখা হয়েছিল শুধু একবছর । বিঙ্কার সেই স্মৃতি
কি আর মনে থাকে ? হঠাৎ মাঝরাতে হার্ট অ্যাটাক । সময় দেয়নি । ছায়া দেবী
চলে যাওয়ার পর বিমলবাবুর নিজেকে সামলাতে সময় লেগেছিল । তবু বিঙ্কাকে নিয়ে
সময় কেটে গেছে দ্রুত ।
বিমলবাবু হেসে বললেন – তোমার থাম্মা খুব সাহসী ছিল ।গ্রামের বাড়িতে তরতর
করে গাছে উঠে যেত । সাঁতরে দিঘি পার হয়ে যেত । বিমলবাবু আর ছায়াদেবির
গ্রাম একটাই । আসলে দুজনের বাবা ছিলেন পরম বন্ধু । তারা তাদের বন্ধুত্ব
আত্মীয়তাতে পরিনত করেছিলেন । পরে বিমলবাবু চাকরি সুত্রে কলকাতায় আসেন ।
ছায়াদেবিও আসেন । তবে গ্রামের সঙ্গে টান অক্ষুন্ন ছিল ।
কথায় কথায় একটু ঝিমুনি এসে গেছিল বিমল বাবুর । ছেলের ডাকে ঘুম ভাঙল “
বাবা আমরা চলে এসেছি । বিমল বাবু চোখ খুলে দেখলেন সত্যি তিনি তার বাড়ির
বটগাছের ছায়ায় এসে দাঁড়িয়েছেন । গাড়ি ঘিরে ধরেছে তার আত্মীয় স্বজন ।
গাড়ির দরজা খুলে বেরোতেই জ্যেঠতুতো দাদা শিবরাম গলা জড়িয়ে ধরলেন । তার
বয়েস আশি পেরিয়েছে । সেই ঘরের মধ্যে সব থেকে বয়স্ক । মেজদা মারা গেছেন
দুবছর হল । তখন বিমলবাবু আসতে পারেননি । তার শরীর ঠিক ছিল না ।
বিমলবাবু তার ঘরে গিয়ে বসলেন । অবশ্য এখন তার ঘর বলা চলে না । ভাগের
সম্পত্তি সব কিছুই জ্যেঠতুতো দাদাদের দান করেছেন । বিমলবাবু ভালো চাকরি
করতেন । এসবের তার প্রয়োজন ছিল না । ঠাকুরের দয়ায় ছেলেও ভালো চাকরী করে
। সেও কোনোদিন বাপের সম্পত্তির খোঁজ নেয়নি । তবু স্মৃতি রয়ে গেছে । তা কি
আর দান করা যায় ? এই বাড়িতেই প্রথম বউ নিয়ে উঠেছিলেন । যদিও পুরনো আসবাব
পত্র কিছু নেই তেমন এখন ।
শিবরাম পিঠে হাত বুলিয়ে বলল “ এটা তোরই ঘর ।তোর বিয়ের খাটটা এখনও আছে ।
পায়াটা একটু নড়বড় করছিল । তাই হারু মিস্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি । এই একটু
পরেই দিয়ে যাবে ।” শিবরাম হাসতে হাসতে বললেন – “ আমি হারুকে বলেছি ,
বিমল দুপুরের ভাত ঘুম দেওয়ার আগেই যেন খাট পৌঁছে যায়” ।
বিমলবাবু বললেন – “ দাদা এই ঘরে এখন কে থাকে ?”
“আমার নাতি শুভ , পড়াশুনো করে ।”
-“তবে তো অন্য ঘরেই থাকতে পারতাম ।”
পিছন থেকে শুভ বলল – “না দাদু , তুমি থাকো । কাকু , কাকিমা পাশের ঘরে
থাকবে । আর বিঙ্কা , তুমি কোথায় থাকবে ?”
বিঙ্কা লাফিয়ে উঠে বলল – আমি দাদুর কাছে থাকবো ।
বিমলবাবু শুভকে দেখে অবাক হলেন । অনেক ছোট দেখেছিলেন । এখন কলেজে পড়ে ।
শুভ প্রনাম করতেই বললেন । – “তুমিও এই ঘরেই থাকো । আমার কোন অসুবিধা হবে
না । খাটটা তো অনেক বড় , তিন জনে শুয়ে পরব ।”
শুভ উৎসাহিত হয়ে বলল –“ আমি কিন্তু গল্প শুনব ছোটদাদু । তোমার গ্রামের গল্প ।”
বিমলবাবু হেসে উঠলেন – এই তো এটাই তো আমার গ্রাম । তোমার গ্রাম , আমার
গ্রাম কি আলাদা নাকি ?
শুভ বিরক্তি ভরা গলায় বলল – “ধুর এখন গ্রাম কোথায় ? দাদুর মুখে শুনেছিলাম
পুরনো দিনের কথা । ছোট দাদু তুমি তোমার সুজিত মাস্টারের কথা বলবে ?”
– “সে তো কবেই নিরুদ্দেশ ।”
– “না ছোট দাদু , সুজিত মাস্টার ফিরে এসেছে ।”
বিমলবাবু অবাক হলেন ।
শিবরাম মাথা নাড়লেন , ফিরেছে। কিন্তু সেই সুজিত আর নেই । বনে বাদারে ঘুরে
বেড়ায় । এক মুখ দাড়ি , বিড়বিড় করে । মাথাটা গেছে বোধ হয় ।
বিমলবাবু চিন্তিত মুখে বললেন – কবে ফিরেছে ?
– “এই তো পাঁচ , ছমাস হবে ।”
বিমল বাবুর সেই মুহূর্তেই মনে হল সুজিত মাস্টারের কাছে ছুটে যেতে ।
দুপুরের খাওয়া সেরে চললেন মাঠের দিকে । ঘন বর্ষায় এখন
চারিদিকে সবুজের সমারোহ । পুকুরে শালুক ফুটেছে । এসব দেখতে দেখতে সুজিত
মাস্টারের কথা ভুলেই গিয়েছিলেন ।মাঠের এক পাশে এক পরিত্যাক্ত কুয়োর কাছে
এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে । বিমলবাবু কাছে যেতেই বৃদ্ধ তার দিকে ঘোলা চোখে তাকাল
।
বিমলবাবু চমকে উঠলেন “ সুজিত মাস্টার !” আসলে কপালের উপর বড় জরুল দেখে
কাররই চিন্তে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় । কিন্তু একি অবস্থা সুজিত মাস্টারের
! গায়ে নোংরা জামা , ছেঁড়া প্যান্ট , গায়ে মাটি লেগে । মনে হচ্ছে যেন
সারাদিন রাস্তাতেই ঘুরে বেড়ান ।
বিমল বাবু নিজের পরিচয় দিয়ে সুজিত মাস্টারের দিকে তাকিয়ে থাকলেন ।
কিন্তু দেখলেন তিনি কোন কথাই বললেন না । মনে হল যেন চিনতে পারেননি ।
বিমল বাবু তার সঙ্গে আসার অনুরোধ জানালেও বৃদ্ধ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে
থাকল । বিমলবাবুর মন ভারি হয়ে উঠেছে । “ তাহলে কি সুজিত মাস্টার সত্যি
পাগল হয়ে গেছে ?”
সুজিত মাস্টারকে একপ্রকার জোর করেই নিয়ে এলেন বাড়িতে । তাতে দাদা শিবরাম
সহ বাড়ির লোক একটু অসন্তুষ্ট হয়েছে । “ কি দরকার ছিল একটা পাগল লোককে
ঘরে নিয়ে আসার ?” শুভ যদিও খুব খুশি হয়েছে । “ ছোট দাদু , এই ছমাস হল
নেপাল থেকে এক ভদ্রলোক এসে ওনাকে দিয়ে গেছেন ।পাহাড়ের খাঁজে আটকে ছিলেন
ছদিন । নেপালি ভদ্রলোক ওনাকে উদ্ধার করেন । কিন্তু দীর্ঘদিন , বছর উনি
কথা বললেন নি । তাই তারা ওর পরিচয় জানতে পারেনি । এই একবছর হল কথা বলছেন
। আমাদের গ্রামের ঠিকানাটা বলতে পেরেছেন । তাই ভদ্রলোক দিয়ে গেলেন ।
কিন্তু উনি যে সুজিত মাস্টার সেটা ওর মনে নেই । গ্রামের পুরনো লোক ওনাকে
দেখে চিনেছে ।
বিমলবাবু সবটা শুনে বললেন “ আমার সঙ্গে একটা কথাও বলেনি ।”
শিবরাম বলল আমি ওর মুখ থেকে একটা শব্দ শুনিনি । আর এতদিন পর ফিরলে কি
বাড়ি ঠিক থাকে ? পার্টির লোক দখল করে নিয়েছে । তারা এখন দেবে না । যদিও
কাউন্সিলার ক্লাবঘরে তার থাকার ব্যবস্থা করেছে । তারাই খাওয়ায় । কিন্তু
পাগলের কি আর খিদে ঘুম থাকে ? সে সারাদিন আদারে বাদারে ঘুরে বেরায় ।এখানে
যে কেন দিয়ে গেল ? কোন পাগলাগারদেই দিয়ে আসতে পারত ।
বিমল বাবুর ভীষণ কষ্ট হল ।এক সময় যে এই গ্রামকে শিক্ষার আলো দেখিয়েছে
তাকেই এখন অন্ধকারে পাঠাতে চাইছে !
হাত মুখ ধুইয়ে নিজের কাঁচা জামাকাপড় পরিয়ে খেতে বসিয়েছেন তার প্রিয় সুজিত
মাস্টারকে । থালার উপর গরম লুচি , তরকারি মিষ্টি , পায়েস ।
সুজিত মাস্টার কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে খাবার গুলো নিয়ে থালার উপর গোল করে
সাজাতে বসেছে ।
বিমল বাবু পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন “ ওকি , খাবে না ? খেলা করছ !
সুজিত মাস্টার মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করতে বলল “ এই হল সৌরজগত । কেন্দ্রে
রয়েছে সূর্য । সূর্যের চারিদিকে ঘুরে চলেছে গ্রহ , নক্ষত্র ,ধূমকেতু ,
উল্কা । জানিস সৌরজগত কাকে বলে ?”
বিমল বাবুর দুচোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে । “ তুমি তো সবটাই বলে দিলে , সূর্যকে
নিয়ে এই যে জগত তাকেই তো সৌরজগত বলে । এভাবেই তো তুমি আমাদের সব কিছু
বোঝাতে । ফল ফুল পশু পাখি দিয়ে বিজ্ঞানকে জেনেছি । তুমি তো পাগল নও ।
তুমি এখনও আমার সুজিত মাস্টার । তুমি যাবে আমার কলকাতার বাড়িতে ?”
সুজিত মাস্টারের চোখটা চিকচিক করে উঠল “ ওখানে বসু বিজ্ঞান মন্দির আছে ,
বিড়লা প্লানেটরিয়াম আছে , আমায় দেখাতে নিয়ে যাবি ?
বিমলবাবু রাত কাটিয়ে ফিরছেন । থাকার কথা ছিল সাতদিন কিন্তু আর একদিনও মন
টিকলো না । বন্ধু সৈকতকে বাঁচাতে পারেননি । কিন্তু তিনি খুঁজে পেয়েছেন
তার ছেলেবেলা , সুজিত মাস্টারকে ।তাকে আর হারাতে দেবেন না ।