খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায় এককালে যে পদে আসিন ছিলেন, সেই আসনই পেলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এদিন বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে প্রথমে ইস্তফা দেন অভিষেক। তাঁর পদে আসেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। আসানসোল দক্ষিণের প্রার্থী হিসেবে বিধানসভা নির্বাচনে জিততে না পারলেও রাজনীতিতে পা রেখেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। সেই ভাল কাজেরই স্বীকৃতি পেলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই অভিষেককে বড় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
মুখ্য়মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও দেখা গিয়েছিল তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করেছিল, কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের মুখে বারবার অভিষেকের নামই যেন স্পষ্ট করে দিয়েছিল তৃণমূলের তরুণ নেতার উত্থান। আর সম্প্রতি যশ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের আদর্শ জননেতার পরিচয় দেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং #PaseAcheAbhishek-ই প্রমাণ করে দিয়েছে তাঁর আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা। ২০২৪-এর লড়াইয়ের জন্য যে শক্ত হাতেই ঘর গোছালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সর্বভারতীয় মহিলা তৃণমূলের সভাপতি হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিনের বৈঠকে পরিচালক তথা বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে তৃণমূলের কালচারাল প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হল। পরে বিজেপিত যারা গিয়েছেন, তাঁদের দলে ফেরা নিয়ে চিন্তা করা হবে বলে জানা গেছে।