হঠাৎ সমীকরণের মোড় ঘোরাল Calcutta High Court — ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক এবার their-jobs স্থানেই বহাল থাকছে। দীর্ঘ দিন ধরে চলা নিয়োগ–বাতিল মামলায় আদালত নারাজ।
২০১৪ সালের Teacher Eligibility Test (TET) উত্তীর্ণদের ভিত্তিতে ২০১৬-১৭ সালে নিয়োজিত ৩২ হাজার শিক্ষক — যাদের চাকরি বাতিলের আদেশ হয়েছিল — তিনি সতর্কভাবে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দিলেন।
আদালতের যুক্তি ছিল, “নিয়োগে দুর্নীতির জন্য সব চাকরি একসঙ্গে বাতিল করলে নিখাদ চাকুরিপ্রার্থীদের ক্ষতি হবে।”
আগামীদিনে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা যাবে, তবে যাদের চাকরি ছিল তারা জরুরিভাবে তারাই কাজে থাকবেন।
শিক্ষক সম্প্রদায়ী ও তাদের পরিবারে ব্যাপক স্বস্তি — বলছেন, “অনিশ্চয়তা শেষ, চাকরি নিরাপদ।” সূত্র জানায়, এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৩২ হাজার পরিবার আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপদ।
এ মামলায় ২০২৩ সালের মে-তে একক বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে নতুন নিয়োগের নির্দেশসহ স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও, দীর্ঘ সময় আদালতে মামলা চলছিল।
এ সিদ্ধান্ত প্রথম থেকেই অনেকের জন্য ছিল আশার আলো — অবশেষে সেই আশা বাস্তবে পরিণত।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতের সিদ্ধান্ত ‘বিচারিকভাবে সঠিক’ এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় শিথিলতা থেকে যে ভয় ছিল, তা এখন উঠে গেছে।
পরবর্তী করণীয়: শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখার প্রতিশ্রুতি, এবং ভবিষ্যতে এরকম মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি — এটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।
Q1: কারা এই ৩২ হাজার শিক্ষক ছিলেন?
A1: ২০১৪ সালের TET উত্তীর্ণ ও ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগের সময় নিয়োজিত প্রার্থীরা।
Q2: কেন ২০২৩-এ তাঁদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়?
A2: আদালতের একক বেঞ্চ দাবি করেছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছিল।
Q3: এখন যা সিদ্ধান্ত নিল হাইকোর্ট?
A3: একক বেঞ্চের রায় বাতিল, ৩২ হাজার চাকরি বহাল।
Q4: এর ফলে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কি প্রভাব পড়বে?
A4: চাকরি বেঁচে যাওয়ায় স্কুলগুলোর শিক্ষক সংকট থেকে মুক্ত হলো, যা পড়াশোনায় প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা ছিল।
Q5: ভবিষ্যতে নতুন নিয়োগ চ্যালেঞ্জ থাকবে কি?
A5: হ্যাঁ — নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হওয়া এবং সময়মতো নতুন নিয়োগ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

