Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বড় বদল! জুলাইয়ে নতুন নিয়ম, কড়া নজরদারি অর্থ দপ্তরের।
রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ বড়সড় বদলের পথে হাঁটছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অনুদানের টাকার অনিয়ম রুখতে কড়া নজরদারি চালু করছে রাজ্যের অর্থ দপ্তর। জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা, যেখানে উপভোক্তাদের তথ্য যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে NPCI-র (National Payments Corporation of India) নির্ধারিত সুরক্ষা বিধি মেনে।
নতুন কী আসছে?
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনুদান প্রাপক মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দু’বার যাচাই করা হবে যাতে কোনও ভুয়ো বা ডুপ্লিকেট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা না যায়। তাছাড়া, অনলাইন আবেদনকারীদের জন্য পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। অর্থাৎ, আবেদন থেকে যাচাই—সবই হবে অনলাইনে।
সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও এসেছে বদল। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তথ্য যাচাইয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মীদেরও স্পষ্টভাবে দায়িত্ব নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ, সিস্টেমে জবাবদিহির কাঠামো আরও শক্ত করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প: কী ও কেন?
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প চালু করেন। উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
বর্তমানে এই প্রকল্পে—
• সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা করে পান
• তপশিলি ও আদিবাসী মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা করে পান
এই অনুদান সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় Direct Benefit Transfer (DBT) পদ্ধতিতে।
কী লক্ষ্য সরকারের?
নতুন এই নির্দেশিকার মূল উদ্দেশ্য—
• প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে টাকা পৌঁছানো
• দুর্নীতি ও জালিয়াতির সম্ভাবনা রোধ
• সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা
এরই সঙ্গে অর্থ দপ্তর থেকে মোট ১৬ দফা নির্দেশিকা জারি হয়েছে, যার মধ্যে স্বচ্ছতা, তথ্য যাচাই ও ব্যাংক লিঙ্কিং প্রক্রিয়া জোরদার করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর (FAQ):
১. লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কী?
রাজ্য সরকারের মহিলা অনুদান প্রকল্প, যেখানে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
২. কারা এই অনুদান পান?
সাধারণ মহিলারা পান ₹১০০০, তপশিলি/উপজাতি মহিলারা পান ₹১২০০।
৩. নতুন কী নিয়ম এসেছে?
তথ্য যাচাই NPCI-র মাধ্যমে বাধ্যতামূলক; ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দু’বার যাচাই করতে হবে।
৪. অনলাইন আবেদনকারীদের জন্য কী পদ্ধতি থাকবে?
সম্পূর্ণ আবেদন ও যাচাই প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হবে।
৫. এই ব্যবস্থা চালুর উদ্দেশ্য কী?
ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ও দুর্নীতি রোধ করে প্রকৃত উপভোক্তাদের অনুদান পৌঁছে দেওয়া।
এখন দেখার, নতুন নিয়মে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর স্বচ্ছতা কতটা নিশ্চিত হয় এবং প্রকৃত উপভোক্তারা কতটা উপকৃত হন।