Israel Iran War: তেল আভিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইরানের পাশে চীন।
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ:
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে। ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে ফের সংঘর্ষ চরমে পৌঁছেছে। ১৩ জুন শুরু হওয়া ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর মাধ্যমে ইজরায়েল ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। পাল্টা জবাবে ইরানও ছুঁড়েছে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র—লক্ষ্য ছিল তেল আভিভ-সহ একাধিক শহর।
ইজরায়েলের অভিযান: পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য
ইজরায়েলি সরকার জানিয়েছে, এই অভিযানে অংশ নিয়েছে ২০০-রও বেশি যুদ্ধবিমান। ফেলা হয়েছে প্রায় ৩৩০টি বোমা। প্রধান লক্ষ্য ছিল ইরানের নাতাঞ্জ, এসফাহান, আরাক ও ফরদো-সহ একাধিক পরমাণু কেন্দ্র। ইরানের সামরিক ও প্রশাসনিক শীর্ষ নেতাদের ঘাঁটিও হামলার লক্ষ্য হয়।
ইরানের দাবি অনুযায়ী, এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৮ থেকে ৯০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন IRGC কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানি সেনাবাহিনীর প্রধান মহম্মদ বাঘেরি, উপপ্রধান গোলাম আলি রাশিদ এবং একাধিক পারমাণবিক বিজ্ঞানী। আহত প্রায় ৩২০ জন।
ইরানের পাল্টা হামলা: কাঁপল তেল আভিভ
ইজরায়েলের উপর পাল্টা আঘাত হানে ইরান। ছোড়া হয় ১০০-র বেশি ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে পারলেও, কয়েকটি ঢুকে পড়ে তেল আভিভ শহরে। অন্তত ৩ জন সাধারণ নাগরিক নিহত এবং ৪০–৮০ জন আহত হন।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর কাছে এই পরিকল্পনার তথ্য আগেই ছিল। অন্যদিকে, চীন ও রাশিয়া ইজরায়েলের হামলার নিন্দা করেছে।
ইরান রাষ্ট্রসংঘে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছে।
পরমাণু চুক্তি অনিশ্চিত, আকাশপথে সতর্কতা
এই সংঘর্ষ এমন সময়ে শুরু হল, যখন ইরান-ইজরায়েল পরমাণু সমঝোতা আলোচনা ইতিমধ্যেই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। ফলে কূটনৈতিক স্তব্ধতা আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে, উভয় দেশই তাদের আকাশপথ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। বিশ্বের বহু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবায় জারি হয়েছে সতর্কতা। সাধারণ মানুষকে বাঙ্কারে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
FAQ:
১. এই সামরিক অভিযানের নাম কী এবং কবে শুরু হয়েছে?
→ অপারেশন রাইজিং লায়ন, শুরু হয়েছে ১৩ জুন, ২০২৫।
২. ইরানে কতজন নিহত ও আহত?
→ ইরান জানিয়েছে, ৯০ জনের মতো নিহত ও ৩২০ জনের বেশি আহত।
৩. ইরানের জবাব কী ছিল?
→ ১০০+ ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইজরায়েলের বিভিন্ন শহরে।
৪. ইজরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি কতটা?
→ অন্তত ৩ জন নিহত, আহত ৪০–৮০ জন।
৫. সংঘর্ষের প্রভাব কী হতে পারে?
→ পরমাণু আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে, মধ্যপ্রাচ্যে অনিশ্চয়তা বাড়বে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে এখন তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আবার নতুন করে প্রশ্নের মুখে।