Lakshmir Bhandar: ভোটের মুখে বড় ঘোষণা! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বাড়তে পারে ভাতা।
আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যবাসীর নজর এখন প্রশাসনের প্রতি। এই প্রেক্ষাপটে ফের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হতে পারে।
বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা পান ১,৫০০ টাকা। তবে প্রশাসনিক মহলের ইঙ্গিত অনুযায়ী, ভবিষ্যতে এই ভাতা যথাক্রমে ১,৫০০ টাকা ও ২,০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। যদিও এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি, তবে সূত্রের দাবি, বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের পিছনে আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন বড় ভূমিকা পালন করছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ইতিমধ্যেই রাজ্যের মহিলা ভোটারদের মধ্যে, বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে, ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। অনেকেই মনে করছেন, ভাতা বাড়ানো হলে তা শাসক দলের নির্বাচনী কৌশলে বাড়তি সুবিধা এনে দিতে পারে।
এই প্রকল্পের সামাজিক প্রভাবও অত্যন্ত ইতিবাচক। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা ও পরিবার পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বহু পরিবারেই এই ভাতা সংসারের ব্যয় সামলাতে বড় সহায়ক হয়েছে।
সারসংক্ষেপে বললে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ভাতা বৃদ্ধি যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা একদিকে যেমন রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনই সামাজিকভাবেও কার্যকরী পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:
১. প্রকল্পটি কার জন্য? – ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী রাজ্যের মহিলাদের জন্য।
২. বর্তমান ভাতা কত? – সাধারণ শ্রেণি: ₹১,০০০, তপশিলি ও উপজাতি: ₹১,৫০০।
৩. ভাতা কত হতে পারে? – সাধারণ শ্রেণি: ₹১,৫০০, তপশিলি ও উপজাতি: ₹২,০০০।
৪. সরকার কি ঘোষণা করেছে? – না, এখনো পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি।
৫. কারা সবচেয়ে উপকৃত? – গ্রামীণ এলাকার মহিলারা।