8th Pay commission: সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, বেতনে আসতে পারে বিপুল বৃদ্ধি!

Published By: Khabar India Online | Published On:

8th Pay commission: সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, বেতনে আসতে পারে বিপুল বৃদ্ধি!

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসতে চলেছে এক বড়সড় সুখবর। ৮ম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মূল বেতন প্রায় তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে, এই কমিশন তাদের আর্থিক স্বস্তি এনে দিতে পারে।

কী এই ৮ম বেতন কমিশন?
ভারত সরকার প্রতি কয়েক বছর অন্তর পে কমিশন গঠন করে, যাতে সরকারি কর্মীদের বেতন, ভাতা ও আর্থিক সুবিধাগুলি নতুনভাবে নির্ধারণ করা যায়। শেষবার ৭ম বেতন কমিশন চালু হয়েছিল ২০১৬ সালে। এবার ৮ম বেতন কমিশনের কার্যকর হওয়ার সম্ভাব্য সময় ধরা হচ্ছে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন -  Indian Cricket Team: গৌতম গম্ভীরকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, দ্রাবিড় পর্ব শেষ হয়েছে

কতটা বাড়তে পারে বেতন?
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেসিক পে ১৮,০০০ টাকা। নতুন কমিশনের প্রস্তাবে এই বেতন ৪৪% থেকে ৫০% পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফলে বেসিক পে হতে পারে প্রায় ২৬,০০০ থেকে ২৭,০০০ টাকারও বেশি। নির্দিষ্ট কিছু স্তরে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট ধরা হলে সর্বোচ্চ বেসিক পে ৭৯,৭৯৪ টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -  Sukanya Mondal: সুকন্যাকে নিয়ে সরব কুণাল ঘোষ

পেনশনারদের জন্য আশার আলো
এই বেতন বৃদ্ধির প্রভাব শুধু কর্মরতদের উপরই নয়, পেনশনারদের উপরও পড়বে। কারণ, পেনশন নির্ধারণ করা হয় কর্মজীবনের শেষ বেতনের ভিত্তিতে। ফলে অবসরপ্রাপ্তরাও এই বর্ধিত হারের ফলে বেশি পেনশন পেতে পারেন।

কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ
৮ম বেতন কমিশনের গঠনের দাবি বহুদিন ধরেই সরকারি কর্মীদের মধ্যে ছিল। সম্প্রতি এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় কর্মীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। বেতন বৃদ্ধি শুধু তাদের ব্যক্তিগত জীবনে আর্থিক স্বস্তি এনে দেবে না, বরং এর প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতেও। কেননা, আয় বৃদ্ধি পেলে খরচও বাড়বে, যার ফলে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন -  Debika Mukherjee: ‘ছোট বউ’ দেবিকা মুখার্জী, কাকে দায়ী করলেন? নিজের ব্যর্থতার জন্য

কবে থেকে কার্যকর হবে?
সরকার এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা না করলেও, বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী ৮ম বেতন কমিশন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে পারে। কমিশন গঠনের পর কিছু সময় নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হয়, এবং সেই রিপোর্টের সুপারিশ অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।