Exam Pass Fail System: নতুন শিক্ষানীতির আওতায় শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন, পাস-ফেল ফিরছে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে।
কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে নতুন শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে। এই নীতির আওতায় পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হচ্ছে। এতদিন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীকে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করার নিয়ম চালু ছিল, যা এবার বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার অধিকার আইন বাতিল
২০০৯ সালে চালু হওয়া শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ফেল না করানোর নিয়ম চালু হয়েছিল। তবে নতুন নিয়ম অনুসারে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ব্যর্থ হলে তাদের পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার পরও উত্তীর্ণ হতে না পারলে তাদের আগের শ্রেণীতেই থেকে যেতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিশেষ উদ্যোগ
নতুন ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। তাদের সাহায্য করার জন্য অতিরিক্ত শিক্ষার সুযোগ ও মানসিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। কোনও শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করার নিয়ম নেই। বরং উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহযোগিতা দিতে হবে।
শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
এই নীতির মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা ও পরিশ্রমের মানসিকতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। যারা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে, তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য একাধিক সুযোগ দেওয়া হবে, যা নীতিটিকে আরও মানবিক ও কার্যকরী করে তুলবে।
শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো আরও দৃঢ়
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীতে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা ব্যবস্থা চালুর ফলে শিক্ষার কাঠামো আরও শক্তিশালী ও বাস্তবমুখী হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি স্কুলগুলোও মানোন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
নতুন শিক্ষানীতির মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি দায়িত্বশীল মূল্যায়নের গুরুত্ব আরও জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।