বেড়ে গেল দুধের দাম, মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ!
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি প্রতিষ্ঠান দুধের নাম বেড়ে গেল। মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপর আর্থিক চাপ বৃদ্ধি পেল আবার নতুন করে। সরকারি দুগ্ধ প্রতিষ্ঠান বাংলা ডেয়ারি সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দুধের দাম এক টাকা করে বেড়ে গেছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বাড়তি বোঝা হয়েছে। দুধ যেহেতু পুষ্টির এক অপরিহার্য উৎস, তাই এর দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের খাদ্য বাজেটে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।
বাংলা ডেয়ারির ডবল টোনড, স্টান্ডারাইজড, এবং গরুর দুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় সাধারণ মানুষের জন্য আরও বেশি চিন্তায় পরে গেলো।
এই দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের পুষ্টি সংক্রান্ত চাহিদা পূরণে বাধা সৃষ্টি হলো। বিশেষ করে যখন দুধ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার দরকার।
সম্প্রতি, মাদার ডেয়ারি সহ বিভিন্ন দুগ্ধ প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বাংলার ডেয়ারি অনুযায়ী, সুপ্রিম, প্রাণসুধা, আয়ুষ মিল্ক, স্বাস্থ্যসাথী, এবং সুস্বাস্থ্য ব্র্যান্ডের দুধের দাম বিভিন্ন পরিমাণে বেড়েছে। এই বৃদ্ধি গত মাসে আমূলের দুধের দাম বৃদ্ধির পর এসেছে, যেখানে প্রায় ২ টাকা করে দাম বেড়েছে। ৩রা জুন থেকে দেশব্যাপী নতুন দাম চালু করা শুরু হয়ে গেছে, আমূলের ৫০০ মিলিমিটারের মহিষের দুধ, আমুল গোল্ড এবং আমূল শক্তির দাম যথাক্রমে ৩৬ টাকা, ৩৩ টাকা এবং ৩০ টাকা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, সরকার এবং দুগ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলির উচিত দুধের দাম নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদা নির্বিঘ্নে পূরণ হয় এবং জীবনযাত্রার মান অক্ষুণ্ণ থাকে। দুধের দাম বৃদ্ধি একটি জটিল সমস্যা, যা সরকারি নীতি, বাজারের চাহিদা-সরবরাহ, এবং উৎপাদন খরচের মতো বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। তবে, এই বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের উপর পড়ে, বিশেষ করে যারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্তর্গত।