সম্পর্কের জটিলতা ও বিচ্ছেদ, প্রাক্তন রণজয়কে নিয়ে বিষ্ফোরক সোহিনী।
সম্পর্কের জটিলতা অনেক সময় প্রকাশ্যে আসে বিচ্ছেদের মাধ্যমে। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu) ও অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের (Sohini Sarkar) মধ্যে। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, যা অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। সোহিনী সম্প্রতি শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যা তার প্রাক্তন প্রেমিক রণজয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবসান হয়। প্রেমিক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সোহিনী। গত ১৫ ই জুলাই আইনি বিয়ে সেরেছেন দুজনে।
বিচ্ছেদের পর সোহিনী বিভিন্ন ট্রোল ও সমালোচনার মুখে পড়েন। রণজয় প্রকাশ্যে বলেছেন যে, তিনি সোহিনীর জন্য সবসময় ভালো কামনা করেন, তবে সোহিনীর দাবি অনুযায়ী, রণজয় ব্যক্তিগতভাবে তাকে কোনো শুভেচ্ছা জানাননি। এই বিষয়টি তাদের মধ্যে বিতর্কের সূত্রপাত। অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার একটি পোস্ট এই বিতর্কে আরো ইন্ধন যোগায়, যেখানে তিনি প্রাক্তন প্রেমিকদের সম্পর্কে সতর্ক করেন। সোহিনী এই পোস্টে রিঅ্যাক্ট করেন, যা আরো বিতর্ক সৃষ্টি করে।
সোহিনীর মতে, রণজয়ের ‘ভালো চাই’ দেখানোর নাম করে তার সাক্ষাৎকার দেওয়া এবং প্রকাশ্যে শুভেচ্ছা না জানানো তার আসল মনোভাব। সোহিনী আরো বলেন যে, তিনি সায়ন্তনী ও রণজয়ের সম্পর্কের সাক্ষী ছিলেন এবং সায়ন্তনীর পোস্টের সত্যতা অস্বীকার করতে পারবেন না। এই বিষয়গুলি তাদের সম্পর্কের জটিলতা ও বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে উঠে আসে।
সোহিনীর অভিযোগ অনুযায়ী, অনেকে তাকে কটাক্ষ করেছেন যে, তিনি রণজয়কে ঠকিয়েছেন। তবে তিনি জানান যে, রণজয়ের কাজ না থাকা সত্ত্বেও তিনি তার পাশে ছিলেন। রণজয়ের কাজ পাওয়ার পরেই তাদের বিচ্ছেদ হয়, যা সোহিনীর মতে পরিস্থিতির বাধ্যবাধকতা ছিল।
সম্পর্কের বিচ্ছেদ অনেক সময় জটিল এবং বেদনাদায়ক হয়। সম্পর্কের জটিলতা ও বিচ্ছেদের পেছনে অনেক সময় ব্যক্তিগত মনোভাব, পরিস্থিতি এবং বিতর্ক থাকে, যা প্রকাশ্যে আসে না।