শিক্ষাব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন! প্রাইমারি পড়ুয়াদের উপর কি প্রভাব পড়বে?
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় আসন্ন পরিবর্তনগুলি প্রাইমারি স্তরের শিক্ষার মান ও কাঠামোকে উন্নত করার লক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে প্রাইমারি স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণীর অন্তর্ভুক্তি সহ শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে এবং হাইস্কুলের উপর চাপ হ্রাস পাবে। এই পরিবর্তন ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে, যার প্রথম ধাপ আসন্ন ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হবে।
এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি পাঁচ ধাপে সম্পন্ন হবে, যার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৩৩৫টি, দ্বিতীয় ধাপে ১৭৭৫টি, তৃতীয় ধাপে ২৯৬৬টি, চতুর্থ ধাপে ১২,০০০টি এবং শেষ ধাপে ১৩,০০০টি স্কুল পঞ্চম শ্রেণীর পঠনপাঠনের জন্য আপগ্রেড করা হবে। এই পরিবর্তনের ফলে প্রাইমারি স্তরের শিক্ষার মান উন্নত হবে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত ভিত্তি আরও মজবুত হবে।
এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি নিয়ে কিছু শিক্ষক হাইকোর্টে মামলা করেছেন, যার মধ্যে বিদেশ গাজী অন্যতম। তারা অভিযোগ করেছেন যে NCTE গাইডলাইন অনুসারে অন্যান্য রাজ্যগুলি ইতিমধ্যে পঞ্চম শ্রেণীকে প্রাথমিক স্তরে অন্তর্ভুক্ত করেছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখনো এই পরিবর্তন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়নি। হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে এই পরিবর্তনের সময়সীমা জানতে চেয়েছে এবং রাজ্যকে এই ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছিলেন।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা জমা দিয়েছেন। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রায় ৩২ হাজার প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করা হবে। ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে পাঁচ দফায় প্রাথমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামো বাড়িয়ে, প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, এই কাজ করিয়ে দেওয়া হবে
রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, যে পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৩২৬৫টি প্রাইমারি স্কুল আছে। তার মধ্যে এখনই ১৪টি প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাইমারি স্কুলগুলির উদাহরণ দিয়ে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে যে এই পরিবর্তনের ফলে হাই স্কুলের উপর চাপ কমে যাবে এবং পঠনপাঠনের মান উন্নত হবে। এই পরিবর্তন প্রাইমারি স্তরের শিক্ষার মান ও কাঠামোকে উন্নত করার একটি অগ্রগণ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।