Viral Video: ব্রিজে আটকে ট্রেন, লোকো পাইলট এইভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামাগুড়ি দিলেন, ভিডিও দেখুন

Published By: Khabar India Online | Published On:

Viral Video: ব্রিজে আটকে ট্রেন, লোকো পাইলট এইভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামাগুড়ি দিলেন, ভিডিও দেখুন। 

একটি ট্রেন আটকে গিয়েছিলো বিহারের সমস্তিপুরে সেতুর মাঝখানে। সেই জন্য নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে লোকো পাইলট নিজে গিয়ে মানুষজনকে বাঁচিয়েছেন।

লিকেজের জন্য মাঝ সেতুতে হঠাৎ করেই থেমে যায় ট্রেনটি। তারপর লোকো পাইলট নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করলেন। লোকো পাইলট ট্রেনের নীচে ব্রিজের উপর হামাগুড়ি দিয়ে ইঞ্জিনের চাপের লিকেজ মেরামত করলেন এইভাবে। এরপর ট্রেনটি এগিয়ে যায়। এই ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছে। ডিআরএম দুই চালককে পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

বিকেলে সমস্তিপুর রেলওয়ে বিভাগের বাল্মিকি নগর ও পানিয়াওয়া স্টেশনের মধ্যে নির্মিত ৩৮২ নম্বর সেতুতে হঠাৎ ট্রেনের ইঞ্জিনের আনলোডার ভালভ থেকে বায়ুচাপ ফুটো হয়। তার জন্য ট্রেনটি মাঝ সেতুতে দাঁড়িয়ে পরে।

আরও পড়ুন -  ভারতের প্রবীণ নাগরিকরা বড় সুখবর পেলেন, ছাড়ের ঘোষণা এই সরকারি সংস্থার

লিকেজের জায়গায় পৌঁছানোর কোন সুযোগ না থাকায়, লোকো পাইলট অজয় কুমার যাদব ও সহকারী লোকো পাইলট নারকাটিয়াগঞ্জ রঞ্জিত কুমার তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের নীচে হামাগুড়ি দিয়ে লিকেজ ঠিক করে খুব সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেক চেষ্টার পর, তারা ইঞ্জিনের আনলোডার ভালভ থেকে বাতাসের চাপের ফুটো মেরামত করেন।

লোকো পাইলটদের এই রকম অসাধারণ সাহস এর সাথে দ্রুত পদক্ষেপের ফলে ট্রেনটি আবার চলতে শুরু করে। যাত্রীরা বিপদ থেকে মুক্তি পায়। এই বীরত্বের কথা শুনে সমস্তিপুর রেল বিভাগের ডিআরএম বিনয় শ্রীবাস্তব উভয় চালকের জন্য 10,000 টাকা পুরস্কার ও প্রশংসাপত্র ঘোষণা করেছেন।

আরও পড়ুন -  গরম থেকে একটু শান্তি পেতে দিঘা-দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ট্রেন দিল রেল!

এই ঘটনার বিবরণ:

এই ট্রেন নম্বর 05497 আপ নারকাটিয়াগঞ্জ গোরখপুর যখন বাল্মিকি নগর ও পানিয়াওয়ার মধ্যে 382 নম্বর সেতুতে পৌঁছায়, সেই সময়ে ইঞ্জিনের (লোকো) আনলোডার ভালভ থেকে বায়ুচাপ লিকেজ হতে শুরু করে। তার ফলে এমআর চাপ কমে যায়, ট্রেনটি মাঝ সেতুতে দাঁড়িয়ে পরে।

সেতুতে ট্রেন থামার পর ওই রকম জায়গায় মেরামত করা খুবই কঠিন। কিন্তু লোকো পাইলট অজয় কুমার যাদব ও সহকারী লোকো পাইলট নারকাটিয়াগঞ্জ রঞ্জিত কুমার ব্রিজের উপর ঝুলে এবং হামাগুড়ি দিয়ে ইঞ্জিন থেকে লিকেজের জায়গায় পৌঁছান। তারপর লিকেজ বন্ধ করতে সক্ষম হয়। এর পর ট্রেনটি গন্তব্য স্টেশনের দিকে এগিয়ে যায়।

আরও পড়ুন -  Weather: তাপপ্রবাহ চলবে, বিকেলেই বদলে যাবে আবহাওয়া, ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

এই সাহসী কাজের জন্য পুরস্কার এবং প্রশংসা:

দুই লোকো পাইলটদের এই সাহসী কাজের জন্য সমস্তিপুর রেল বিভাগের ডিআরএম বিনয় শ্রীবাস্তব চালকের জন্য ১০,০০০ টাকা পুরস্কার ও একটি প্রশংসাপত্র ঘোষণা করেছেন। তাদের এই রকম বীরত্বের সাথে তাদের দায়িত্ববোধের প্রশংসা করেছেন। এই রকম কর্মী রেলওয়ে বিভাগের গর্ব।