অভিনেত্রী এবং সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে (Mimi Chakraborty) নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে লোকসভা ভোটের আগেই। ২০১৯ সালে যাদবপুরে তৃণমূলের হয়ে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন।
এবারে তিনি প্রার্থী হবেন কিনা তা নিয়ে চলছে নানান জল্পনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন।কিন্তু তাঁকে নিয়ে যতই জল্পনা কল্পনা চলুক না কেন, মিমি কিন্তু নিরুত্তাপ।
রাজনৈতিক জগতে এই পরিস্থিতির মাঝেও নিজের অভিনয়ে কেরিয়ারে মনোযোগ দিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগেও তিনি যা বলেছেন, এখনও তাই বলছেন। সময় এবং পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করবে এরপর যা হবে’। মিমি আরো বলেন, তিনি এখন ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ মোডে রয়েছেন। সাময়িক কোনো মুহূর্তের কথা ভেবে তিনি এখন কথা বলেন না। যা বলেন যথেষ্ট ভাবনা চিন্তা করেই বলেন।
রাজনৈতিক জগতে গুঞ্জনের কোনো উত্তর দিতে তিনি রাজি নন। তাঁর স্পষ্ট কথা, যার যেমন খুশি বলতেই পারেন। সময়ই সব প্রশ্নের জবাব দেবে। মিমির কথায়, তাঁর প্রথম পরিচয় তিনি একজন অভিনেত্রী। কাজের চাপও অনেকটাই বেড়েছে। তাঁর মতে, অভিনয়কে আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই মুহূর্তে শহরে ‘আলাপ’ ছবির শুটিং করছেন মিমি। আগামীতে একটি বাংলাদেশি ছবির শুটিংও তিনি করবেন বলে জানা যাচ্ছে। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে থাকতে পারেন বাংলাদেশি সুপারস্টার শাকিব খান।
View this post on Instagram
আগে মিমি বলেছিলেন, ‘আমরা তো অভিনেতা। মানুষের ভালোবাসা পেয়ে এখানে আসি। কিন্তু আমার মনে হয়, রাজনীতিতে আসলে একটা সময় ওই ভালোবাসাটাও ভাগ হয়ে যায়’। মিমি বলেছিলেন, রাজনীতি তাঁর জন্য নয়। রাজনীতি করলে মানুষ তাঁর মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়। তিনি জ্ঞানত কখনো কারোর ক্ষতি করেননি। তিনি এও বলেন, শেষমেষ দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ঠিক করবেন। উনিই সুপ্রিমো।