গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল প্রায় ২৩২০০

Published By: Khabar India Online | Published On:

ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ২৩ হাজার ২শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে গাজায়। তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে। নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী এবং শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২১০ জনের।

আরও পড়ুন -  Aalta Phoring: টিআরপি তালিকায় টপে, নতুন চমক আলতা ফড়িংয়ে

আহত হয়েছে আরও প্রায় ৫৯ হাজার ১৬৭ জন। এই আপডেট জানানোর আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ১২৬ জন নিহত হয়েছে ইসরায়েলি হামলায়।

এদিকে, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে উত্তর গাজায় ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচও বলছে, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে চতুর্থবারের মতো উত্তর গাজায় আল-আওদা হাসপাতাল এবং কেন্দ্রীয় ওষুধ সরবরাহ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জরুরি ওষুধ সরবরাহ বাতিল করতে হলো।

আরও পড়ুন -  Income Tax: পশ্চিমবঙ্গে আয়কর দপ্তরের অভিযান

দখলকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে অবস্থানরত ডব্লিউএইচওর কার্যালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে ( প্রাক্তন টুইটার) বলে, ‘আমরা শেষবার উত্তর গাজায় পৌঁছাতে পেরেছি ১২ দিন হয়ে গেছে। ভারী বোমা বর্ষণ, চলাচলে সীমাবদ্ধতা ও যোগাযোগে বিঘ্নের কারণে গাজায়, বিশেষ করে উত্তর গাজায় নিয়মিত এবং নিরাপদে ওষুধ সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।’

ডব্লিউএইচও বলছে, গতকাল গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের পাঁচ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চালিয়ে নেওয়ার মতো ওষুধ সরবরাহের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ডব্লিউএইচওর পরিচালক জেনারেল তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, তিনি উত্তর গাজায় চিকিৎসাসেবার প্রয়োজনীয়তা এবং ধ্বংসলীলা দেখে হতভম্ব। এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি বলেন, ‘ওষুধ সরবরাহে আরও বিলম্ব হলে মৃত্যু ও মানুষের ভোগান্তির পরিমাণ বাড়বে।’

আরও পড়ুন -  Coal Mine: রাশিয়ার একটি কয়লা খনি দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জন নিহত

ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি) বলছে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডের জন্য গাজার মধ্যাঞ্চলে আল-আকসা হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসাসেবা দল এবং মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টিনিয়ান চ্যারিটির কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

ছবিঃ সংগৃহীত।