প্রায় মানুষেরই দেখা গেছে অনীহা শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে।
ঘড়িতে অ্যালার্ম দিনঃ
বহু জন আছেন যারা মোবাইল ফোনে কয়েকটি সময়ে অ্যালার্ম সেট করে রাখেন। কিন্তু আলস্যতা আরও বাড়ে এতে। তার কারণ কয়েকটি সময়ে এলার্ম সেট করলে, পরের এলার্মে উঠব, আরেকটু ঘুমিয়ে নিই, এরকম মানসিকতা তৈরি হয়ে যায়। সেই জন্য সময়মতন ঘুম থেকে ওঠা হয় না। সেই কারণে একটি নিদির্ষ্ট সময়ে এলার্ম সেট করুন।
রুমে বাইরের আলো আসতে দিনঃ
যখন রাতে ঘুমাতে যাবেন, তার আগে জানালার পর্দাগুলো সরিয়ে রাখুন। সকালে আলো ফোটার সাথে সাথে আপনার ঘরে আলো প্রবেশ করে, আপনার ঘুম ভাঙায়। ঘর অন্ধকার করে রাখলে সহজে ঘুম ভাঙবে না। শীতকালে দিন ছোট ও রাত বড় হয় তাই চেষ্টা করুন দিনের আলো ফোটার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠতে পারেন।
উষ্ণ জলে স্নান করুনঃ
শীতের সময়ে সকালে ঘুম থেকে উঠলেও অনেকেরই ঘুমঘুম ভাবটা থাকে। এর ফলে দেখা যায় ঠিকমতো কাজে মন দিতে পারছেন না, আবার তেমনই মেজাজ খারাপ হয়ে আছে। এই জড়তা কাটাতে হালকা কুসুম গরম জল দিয়ে স্নান করুন। দেখবেন যেমন ফ্রেশ অনুভব করছেন ঠিক তেমনি ভেতর প্রাণবন্ত ভাব জাগছে।
ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস করুনঃ
প্রথমে ঘুম থেকে উঠেই কিছুক্ষণ হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করুন। এর ফলে ঘুম যেমন ভাঙবে, আবার অলসতা দূর হবে। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শুরুর আগে কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস বা হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস সারাদিনের কাজের জন্য প্রস্তুত করবে।
সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুনঃ
সকালের দিকে খাবার একটি প্রয়োজনীয় অংশ। কখনোই এটি বাদ দেয়া উচিত না। স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন-ডিম, গরম দুধ, মধু এবং মাখন এই ধরনের খাবার খাবেন। এই সমস্ত খাবার এই শীতের জড়তা কাটাতে সাহায্য করে। আর মৌসুমী ফল রাখতে পারেন যা এনার্জি লেভেল বৃদ্ধি করে। এতে শীতের সকালের জড়তা এড়াতে সাহায্য করবে। অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করবেন।
দিনের শুরুতেই চা বা কফিঃ
শীতের সময়ে আলসেমির সাথে জড়তা ভরা সকালকে চাঙ্গা করতে সঙ্গী হতে পারে এক কাপ গরম কফি বা গরম চা। যা সারাদিনের ক্লান্তি দূর করবে।
এই সময়ে গরম তেল মালিশঃ
আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াতে ও রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে গরম তেল মালিশ করুন। বিশেষ করে তিলের তেল মালিশ করলে ভাল ফল পাবেন। এই গরম তেল মালিশ রক্তসঞ্চালন উন্নত করে। সাথে হজমশক্তি ভালো রাখে।
ছবিঃ প্রতীকী।